ব্লু-হোয়েল গেম থেকে বাঁচতে জনসচেতনতা জরুরি
ডা. মো. তাজুল ইসলাম
ব্লু-হোয়েল গেমটা যিনি বানিয়েছেন তিনি নিজেও একজন বেকার। যারা হতাশাগ্রস্ত, তারা তো এই সমাজের জঞ্জাল। তারা কিছুই করে না। তাদের জন্যই এই গেম। এই গেমটায় আকর্ষণীয় কিছু লেভেল রয়েছে। এই গেমের নিয়ম হলো চক্রের ভেতরে খেলোয়াড়কে নিয়ে আসা। একপর্যায়ে মানসিকভাবে তাকে অসুস্থ করে ফেলে। তাদেরকে মাদক গ্রহণ করতে বলা হয়। ছেলেমেয়েরা যখন বিমূর্ষ হয়, হতাশাগ্রস্ত হয়, তখন এই গেম তাকে কাবু করে ফেলে। একধরনের হিপনোটাইজ করার মতো। সবার সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে বলা হয়। যতটা সম্ভব তাকে একা করে ফেলা হয়। এ সময় খেলোয়াড়ের উচিত খেলাটা বন্ধ করে দেওয়া। বাবা-মায়ের উচিত ছেলে-মেয়েদের হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে নেওয়া। কিন্তু এগুলো হচ্ছে না। ফলে ছেলে-মেয়েরা আরও আসক্ত হয়ে পড়ছে। গেম তাদেরকে বলে এটা করো, ওটা করো। এগুলো হিপনোটাইজের একেকটি পর্যায়। হিপনোটাইজড না হলে এতসব করা যায় না। সবাই কিন্তু এসব করবে না। যারা বেশি পরিমাণে হতাশাগ্রস্ত তারাই এসব করছে। তারা গেমের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এ গেমের সর্বশেষ স্টেজে গিয়ে তরুণ-তরুণীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এর হাত থেকে বাঁচতে জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
পরিচিতি : মনোবিদ
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ