ফারুক-রাজ্জাক রক্তের বাঁধনে বাধা
আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)
আমরা স্বাধীন একটি জাতি। একাত্তরের নয় মাস যুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি। স্বাধীন দেশে আমরা এত সুন্দর একটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি করেছি, জাতির জনক যাকে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার আরেকটা হাতিয়ার হল কালচার, আর্ট। যেখান থেকে শুরু করেছেন, সে শুরুর জায়গাটিকে ধ্বংস করে দেবেন? এখানে সিনেমা হল’এর মালিকদেরকে হেল্প করতে হবে। তারা আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় অংশ। আমি তৈরি করব, দেখাব কোথায়? আমার দেখানোর জায়গাটা আগে সুন্দর করতে হবে। তখনই তো আমার মা-ভাই-বোনেরা সবাই আসবেন দেখতে। এই ছবিটা দেখা মানেই লাখ লাখ লোকের রুটি-রুজি। সমাজব্যবস্থার বহু কথা এর মাধ্যমে বলা যায়। চলচ্চিত্রের চেয়ে বড় কোনো মাধ্যম নেই যে চলচ্চিত্রকে মারতে পারে। চলচ্চিত্র যদি সঠিকভাবে চলত তাহলে এই জঙ্গিবাদের উত্থান বহুলাংশেই কমে যেত। বিপথে যাওয়ার সুযোগ থাকত না। সিনেমার মাধ্যমে অমানুষকে মানুষ করা যায়। এই বিষয়গুলো চলচ্চিত্র ছাড়া হয় না। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ চলচ্চিত্র ৮০ পার্সেন্ট এগিয়ে নিয়ে যায়। তারপরে পুলিশ বাহিনী। তাই চলচ্চিত্রকে প্রধান্য দেওয়া উচিত। এর উজ্জ্বল ভবিষ্যত আমি দেখতে পাই।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের অবদান অসামান্য। তিনি ছবিতে অভিনয় করেছেন, ছবি পরিচালনা করেছেন। তার কোটি কোটি ভক্ত আছে। এ সবই তার অবদান। একই লোক পাঁচজন ফিল্মস্টারকে ভালোবাসতে পারে। কখনো রাজ্জাক ভাইকে ভালোবাসলো। কখনো উজ্জ্বলকে। কখনো জাফর ইকবালকে। প্রত্যেকেরই অবদান আছে। রাজ্জাক সাহেব আজকে চলে গেছেন, তার অবদানের কথা ঢোল পিটিয়ে বলবো, আমি এটা পছন্দ করি না । বেঁচে থাকতে তার অবদানের কথা বলা উচিত ছিল। আমরা তো কমপিটিটর। তারপরও তো ভাইয়ের চেয়ে তাকে বেশি দেখি। আমরা যারা অভিনয় করি, আমরা একে অপরের ভালোবাসার ও শ্রদ্ধার মানুষ। ফারুক-রাজ্জাক রক্তের বাধনে বাধা।
পরিচিতি: চলচ্চিত্র অভিনেতা
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ