যে কারণে বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বেআইনী
এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া
বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার ২০০৬ সালের কেবল নেটওয়ার্ক আইন অনুযায়ী বেআইনী। আইনে বলা হয়, বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য বিদেশি কোনো চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। এরই প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে যে নীতিমালা করা হয়েছে, এতে বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করার বিধান নেই। অথচ বর্তমানে বিদেশি চ্যানেলগুলোতে অবৈধভাবে বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। আইনে বলা আছে, বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না। আমি জনস্বার্থে এই রিট করেছি। আজকাল ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া এসব বিজ্ঞাপন দেখা যায়। বিজ্ঞাপন যদি বিদেশি চ্যানেলে চলে যায়, তাহলে দেশের চ্যানেলগুলো বঞ্চিত হয়। ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব বিজ্ঞাপনের অনেকগুলোর বিরুদ্ধেই অশ্লীলতার অভিযোগ রয়েছে। যুব চরিত্র নষ্ট করছে। বিভিন্ন হারবাল ঔষুধের চটকদারী এসব বিজ্ঞাপন যেমন: বলা হয় এটা খেলে স্বামী-স্ত্রীর সুবিধা হয় এবং এমন সব শব্দ ব্যবহৃত হয় যা শিশু কিশোরদের মনে বিরূপ প্রতিক্রয়া সৃষ্টি করে। আবার যুব সমাজকে উৎসাহিত করতে নানা শক্তিবর্ধক ও ড্রিংকসের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এগুলো সবদিক থেকেই ক্ষতিকারক। মূলত আইনকে অমান্য করে তারা বিজ্ঞাপন তৈরি করছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শুধু অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়, বিজ্ঞাপনটা তারা প্রচার করে না। ওই দেশের আইনে আগেই নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, কোনো বিজ্ঞাপন দেশের বাইরে চলতে পারবে না। আমাদের দেশের আইনেও আছে। কিন্তু আমরা তা মানছি না। আইনে আছে, বাস্তবায়ন নেই। এজন্যই হাইকোর্ট চার সপ্তাহের ভিতরে রুলের জবাব দিতে বলেছেন।
পরিচিতি: এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
মতামত গ্রহণ: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান