প্রধান বিচারপতির ছুটির ঘটনায় আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
এস এম নূর মোহাম্মদ : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হার ছুটিতে যাওয়ার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার বার ভবনের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। অপরদিকে সমিতির সহ-সভাপতি অজিউল্লাহর নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। এসময় আইনজীবী সমিতিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সরকার সমর্থকরা।
এদিকে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বারের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে আহ্বান জানাই, আপনার জীবন থাকা পর্যন্ত দেশে থাকুন। আপনি আমাদের কথা রেখে দেশে আছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। জীবন যতক্ষণ আছে, সুপ্রিম কোর্টে ফিরে না আসা পর্যন্ত বিদেশে যাবেন না। যারা মানবতার পক্ষে, যারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে, যারা আইনের শাসন ও সংবিধানে বিশ্বাস করে তারা সবাই আপনার সুপ্রিম কোর্টে ফিরে আসা চায়।
তিনি বলেন, এখন তুঘলকী অবস্থা চলছে। প্রধান বিচারপতির বাসার আশপাশে কেউ কেউ ঘোরা ফেরা করছে তাকে বিদেশে পাঠাতে। প্রধান বিচারপতিকে বলব, আপনি শক্ত থাকবেন। অনড় থাকবেন। আপস করবেন না। কোনো চাপের কাছে মাথানত করবেন না। সারা দেশের আইনজীবীরা আপনার সঙ্গে আছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সমিতির সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সমিতির বর্তমান সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফায়েজী, আহমেদ আজম খান, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি সানা উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, তৈমুর আলম খন্দকার প্রমুখ।
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা ও প্রধান বিচারপতিকে তার স্বপদে পুর্নবহাল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফায়েজী বলেন, আজ বিচার বিভাগ রক্ষার করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা আন্দোলন করছে। যারা এই অবস্থা সৃষ্টি করেছে তাদের ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখিন হতে হবে। তিনি বলেন, কোনো দেশে এর চেয়ে বড় সাংবিধানিক শূণ্যতা আর হতে পারে না।
তৈয়মুর আলম খন্দকার বলেন, একটি সরকার যখন স্বৈরাচারে চরম পর্যায়ে যায়, তখন বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিজদের হাতে নিয়ে নেয়। এ সরকারও তাই করেছে।