বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ মূল্যায়ন
মোহাম্মদ রফিক
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের ক্রিকেট দলের এবারের খেলাটা কিন্তু অনেক দিন পর হয়েছে। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলার প্রায় নয় বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেক্ষেত্রে তাদের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা কম। সত্য কথা বলতে কী, দীর্ঘদিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টেস্ট খেলার কারণে তাদের হোম কন্ডিশন এবং আবহওয়ার ব্যাপারে খুব আইডিয়া ছিল না। তাদের সঙ্গে আমাদের দলের অ্যাডজাস্টমেন্ট হতে একটু সময় লাগবে।
দীর্ঘদিন পর পর খেলা খেললে, সেটা যদি আবার উপমহাদেশের বাইরে কোনো দেশের সাথে হয়, তাহলে সেখানে কন্ডিশনটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের দল এর আগেও বাইরের বিভিন্ন দেশের সাথে খেলেছে, তখনো খারাপ খেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার হোম কন্ডিশন যদি না বোঝেন তাহলে সেখানে ভালো ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়। সেজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দল হতাশায় পড়েছে। আমরা যতই বলি না কেন, দলে বেশ কয়েকজন ভালো ব্যাটসম্যান ও বোলার রয়েছে। এটা নিজেদের মাটিতে প্রমাণ হলেও তাদের আসল পরীক্ষা হলো বাইরের দেশের সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্টের।
সেজন্যে আমাদের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলার পাশাপাশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। কেননা, টেস্ট খেলাটা হলো সম্পূর্ণ একটা অন্যরকম খেলা। স্বল্প পরিসরের খেলার সঙ্গে একে তুলনা করলে হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজে কী কী ভুল আছে বা এখন করণীয় কী হতে পারে এটা বিসিবি এবং আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা বা বাইরের দেশে যে ধরনের উইকেট রয়েছে সে ধরনের উইকেট আমাদের তৈরি করা দরকার। কেননা, নিজ দেশের উইকেট বাইরের দেশে পাওয়া যাবে না বা আপনি প্রত্যাশা করতে পারবেন না। সুতরাং বাইরের দেশের উইকেট এবং ওয়েদার নিয়ে চিন্তাভাবনা করে কাজ করতে হবে।
পরিচিতি : সাবেক ক্রিকেটার
মতামত গ্রহণ : বায়েজিদ হোসাইন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ও খন্দকার আলমগীর হোসেন