ব্লু-হোয়েল গেম : ইন্টারনেটের কনটেন্ট ফিল্টার প্রযুক্তি সংগ্রহ জরুরি
তথ্য-প্রযুক্তির যেমন কিছু ভালো দিক থাকে, ঠিক তেমনি কিছু খারাপ দিকও আছে। ব্লু-হোয়েল গেম মানুষকে হতাশার মধ্যে ঠেলে দিতে পারে, এটা একটা বিপজ্জনক গেম। এ থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আলাদা করে বলার দরকার নেই। এটা সারা দুনিয়ার জন্য যেমন একটা উৎকণ্ঠার বিষয়, আমাদের জন্যও তাই। বাংলাদেশে এর অস্তিত আছে কিনা? আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন কয়েকজনকে চিনি যারা এ গেমটা ব্যবহার করেন। সুতরাং অস্তিত নেই এটা বলা যাবে না। সাধারণত গুগল বা অন্যান্য ব্রাউজার দিয়ে পাওয়া যায় না। বিশেষ ধরনের কিছু গোপন বা অবৈধ ব্রাউজার আছে, সেগুলো দিয়ে পেতে হয়। এটা কোথায় কিভাবে হোস্ট করা আছে খোঁজে বের করাও কষ্টকর। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও খোঁজে বের করা কষ্টকর। এটা যে কারও খেলাও কষ্টকর, কারও না কারও রেফারেন্স থেকে তারা এ গেমটা খেলা শুরু করে। আমি মনে করি, এটার জন্য সচেতনা বৃদ্ধি করা দরকার। অর্থাৎ মা-বাবা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সচেতন করা দরকার। আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে এ ধরনের কাজে লিপ্ত না হয়। সরকারের যে কাজটা করা জরুরি, তা হলো ইন্টারনেটের কনটেন্ট ফিল্টার করার জন্য প্রযুক্তি সংগ্রহ করা।
বাংলাদেশে একটা মেয়ে গেমটা খেলে আত্মহত্যা করেছে বলা হচ্ছে, আবার এর বিরোধিতাও হয়েছে। সুতরাং এ সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাবে যদি তদন্ত করা হয়। সে আত্মহত্যা করুক বা না করুক এটা বিপজ্জনক; এটা আমাদের দেখার বিষয়। সে মারা গেল কি গেল না, সেটা নিয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই। এটা একটা খারাপ জিনিস, এ থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। ভারত অতিসম্প্রতি খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে ব্যাপারটি। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থার দৃশ্যমান কিছু কি আমরা দেখেছি?
পরিচিতি : কম্পিউটার বিজ্ঞানী
মতামত গ্রহণ : খন্দকার আলমগীর হোসেন
সম্পাদনা : আশিক রহমান