নন-পারফর্মিং লোন কমিয়ে আনতে আইনি কাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন : বিশেষজ্ঞদের অভিমত
বাসস : নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) কমিয়ে আনতে আইনী কাঠামো সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞগণ। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দোকার গোলাম মোয়াজ্জেম বাসস’কে জানান, কিছু গ্রাহক ইচ্ছা করেই খেলাপি হয়েছে। তারা বাংলাদেশ অর্থ ঋণ আদালত আইনের দুর্বলতার সুযোগ লুফে নিচ্ছে। ঋণ খেলাপিরা যাতে আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিতে না পারে, এ জন্য আইনটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আইনের দুর্বলতা ঋণ গ্রহীতাকে খেলাপি হতে উৎসাহিত করে। আইনে তাদেরকে সময় দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংক খেলাপির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলেই তিনি আদালতে চলে যান এবং ব্যাংকের বিরুদ্ধে একটি রীট পিটিশন করে বসে থাকেন। আবার ঋণ খেলাপি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করে সময় ক্ষেপন করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি শুধু সময় ক্ষেপন করেন। বিশ্ব ব্যাংকের লীড ইকোনমিস্ট জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে আলাপকালে বর্তমান আইনটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ব্যাংক মন্দ ঋণের ঝুকি কমাতে সংশ্লিষ্ট সম্পদের মূল্য নির্ধারণের পর গ্রাহককে ঋণ দিবে। তিনি আরো বলেন, ব্যাংক বিনিয়োগের অবস্থা যাচাই করে বিপুল পরিমাণ এনপিএল আদায়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। ব্যাংকারকে ঋণ দেয়ার সময়ে গ্রাহকের আথির্ক অবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বড় ঋণ যাতে ভবিষ্যতে একটি মন্দ ঋণ হতে না পারে, এ জন্য আগে ভাগেই খেলাপির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এপ্রিল থেকে জুন পযর্ন্ত বিদায়ী অর্থবছরে এই শেষ প্রান্তিকে শ্রেণী বিন্যাসিত ব্যাংক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ১ শত ৪৮ কোটি টাকা।