বখাটের উৎপাতে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ
তাসকিনা ইয়াসমিন : বখাটের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে বগুড়ার মোস্তফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করে তাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ শাস্তি বিধানের দাবি জানিয়েছে নারী অধিকারের সঙ্গে যুক্ত এ সংগঠনটি। গতকাল সংগঠন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল বুধবার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে, বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মোস্তফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী বখাটেদের উত্যক্ত এবং অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের জাহিদ হোসেন ম-লের ছেলে বুলু ম-ল (৩৮) ও একই গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে ছদরুল ফকির (৩৬) বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করে আসছিল। উত্যক্তকারী দুই জনই বিবাহিত এবং তাদের সন্তান রয়েছে। তারপরও এলাকায় রাস্তায় স্কুল ছাত্রীদের সঙ্গে নানারকম অশ্লীল উক্তি করাই ছিল তাদের কাজ। এলাকার লোকজন অবগত থাকলেও উত্যক্তকারীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনি। গত ৪-৫ দিন আগে বুলু ছাত্রীটিকে প্রকাশ্যে মারধর করে। এতে ছাত্রীটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে ছাত্রীটির মা দোকানে তেল আনতে গেলে মেয়েটি ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। যৌন নিপীড়ন ও উত্যক্তকরণ প্রতিরোধে কিশোরী ও তরুণীদের সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং সহপাঠীদের সাথে দলবদ্ধভাবে স্কুল কলেজে যাতায়াত করাসহ পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে এবং প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে। সেই সাথে পরিবার ও সমাজকে নির্যাতনের শিকার কিশোরী ও তরুণীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সকলে মিলে মিলিতভাবে যৌন নিপীড়ন ও উত্যক্তকরণ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মহিলা পরিষদ এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ