নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুরু হচ্ছে আইএমওর অডিট
তরিকুল ইসলাম সুমন : সমুদ্রগামী নৌ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশে অডিট করতে আসছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)। আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে দেশে এ কার্যক্রম শুরু করার জন্য তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছেন বলে নৌ পরিবহণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
নৌ পরিবহণ অধিদপ্তরের নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন সরকার জানান, ছয়টি বিষয়কে সামনে রেখে আইএমও প্রথম বারের মতো অডিট শুরু করতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সমুদ্রে চলাচলকারী নৌযানের নিরাপত্তা, নৌযানের মান, নাবিকদের প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং, সমুদ্র দূষণ, নৌযানের ধারণক্ষমতা, লোডলাইন বা পানির উপরে ভাসমান স্থান সম্পর্কে নৌ পরিবহণ অধিদপ্তরের সার্বিক অবস্থা ও এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অডিট বা নিরিক্ষা চালাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিকভাবে আইএমও নির্ধারিত বিভিন্ন আইন কানুন এবং বিধি বিধান পরিপালন করতে হবে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে।এই সংস্থা ২০১৩ সাল থেকে আন অফিসিয়ালী অডিট কাজ করা শুরু করলেও অফিসিয়ালী ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে এটি এ বছর শুরু হলো। আগামী ১৩-২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিন সদস্যের একটি কমিটি বাংলাদেশে অবস্থান করে নৌ পরিবহণ আিধদপ্তর সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে এ কাজ সম্পন্ন করবে। ক্যাপ্টেম জসিম উদ্দিন সরকার আরো বলেন, তিন সদস্যের অডিট টিমের প্রতিনিধিত্ব করবেন তুরস্কের বাসিন্ধা ক্যাপ্টেন চাহিদ ইয়ালসীন। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের যে সব সমস্যা রয়েছে সে গুলো পরিপালনে বা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে আগামী ৩ বছর সময় বেধে দেবে আইএমও। এছাড়াও এই কমিটি বাংলাদেশের এ সেক্টরে কর্মরত জনবল, অফিস সেট আপ, সার্ভেয়ারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও পর্যালোচনা করবে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে জাতিসংঘের বিশেষায়িত এ সংস্থার সদস্য পদ লাভ করে। বাংলাদেশ এই সংস্থার ‘বি’ ক্যাটাগরির সদস্য। বিশ্বের মোট ১৭২টি দেশ আইএমও-র সদস্য। সম্পাদনা: আনোয়ার হোসেন