অদম্য সাহসিকতায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করায় ৬ কিশোরী পুরস্কৃত
তাসকিনা ইয়াসমিন : অদম্য সাহসিকতায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করায় পুরস্কৃত হলো ৬ কিশোরী। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই ৬ জনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন মানিকগঞ্জের সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ বেগম। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেনÑ এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের শামীমা আক্তার, আমিনা খাতুন (নীলা), লিলিমা, ব্র্যাকের মুক্তা আক্তার মৌ, হাঙ্গার প্রজেক্টের শাবানা আক্তার এবং ঘাস ফড়িংয়ের তুলি দেবনাথ।
কন্যাশিশুদের নানা চাহিদা ও প্রতিবন্ধকতাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তাদের সক্ষমতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্র্যাক, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন এবং অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিল গার্লস নট ব্রাইড ও এনগেজ মেন এ্যান্ড বয়েজ নেটওয়ার্ক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মমতাজ বলেন, আমি নিজেই পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে এসেছি। আজ আমি যে এমপি হয়েছি- এটা আমার অর্জন। আর এটা সম্ভব হয়েছে, আমার আত্মবিশ্বাসের কারণে। এভাবে আত্মবিশ্বাস থাকলে তোমরাও (পুরস্কারপ্রাপ্তরা) একদিন এগিয়ে যাবে।
অস্ট্রেলীয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্যালী-এ্যান ভিনসেন্ট বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্যবিবাহের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। এ অঞ্চলের ৪৬ শতাংশ মেয়েশিশুর বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের মধ্যেই। এই কারণেই অষ্ট্রেলীয় সরকারের বৈদেশিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বিভাগ এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেহতাব খানম বলেন, মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য সামাজিক ও মানসিক পরিবর্তন দরকার। এজন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন দরকার। তিনি বলেন, একটা মেয়ে জীবনের শুরু থেকেই ‘না’ শুনতেই অভ্যস্ত। শৈশব থেকেই মেয়েদের মানসিক পরিবর্তন জরুরি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত তুলি দেবনাথ বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে আত্মপ্রত্যয়ী। তিনি জানান ‘শিশুর পেটে শিশু কেন, মায়ের পেটেইতো শিশু হবে।’ এ বোধ থেকেই তিনি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছেন। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন