পণ্য মূল্যে দুর্বিষহ জনজীবন
অর্থনৈতিক ডেস্ক : খাদ্যপণ্যসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। দেশে নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানেও ভাটার টান। ্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানির কারণে খাদ্য ঘাটতির সূত্র ধরে চালের অব্যহত মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে প্রতিটি খাদ্যপণ্যে। চাল আমদানী শুল্ক প্রায় শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনার সাথে সাথে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে জরুরী ভিত্তিতে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানী অব্যহত থাকলেও খুচরা বাজারে তার কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছেনা। ইনকিলাব
দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান গতিহীন হয়ে পড়ায় বেকারত্বের বেড়ে চলেছে। স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ আয় রোজগারের সিংহভাগ খাদ্যের পেছনে ব্যয় করতে গিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মত খাতগুলোতে নজর দিতে পারছেনা। ব্যয়বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। আমরা যখন আগামী দশকে একটি মধ্য আয়ের বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছি, তখন কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নমুখী হয়ে পড়ছে। এটি কোন দেশের টেকসই বা স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষণ নয়। অশিক্ষা ও অপুষ্টির মাত্রা বাড়িয়ে দেশের অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয়। দেশে ধানের বাম্পার উৎপাদনের পরও কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবছর ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। অকাল বন্যায় হাওরে ফসলহানির পর সেখানে জরুরী খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে গিয়ে দেখা গেল সরকারী খাদ্য গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য নেই। চাল আমদানী শুল্ক শতকরা ২৮ ভাগ কমিয়ে দেয়ার পরও খুচরা বাজারে তার কোন প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। বিপণনব্যবস্থা বা বাজারের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এক শ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দুর্নীতি, কারসাজি ও লুটপাটের মধ্য দিয়ে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে পণ্যমূল্যের যাঁতাকলে সাধারণ মানুষের জীবন ধারণ কঠিনতর হয়ে পড়ছে। এহেন বাস্তবতা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। পণ্যের মান, পণ্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ ও বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সম্ভাব্য সব কিছুই করতে হবে। সম্পাদনা : মোনা হক