শাহজালালে স্বর্ণ ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রাসহ ২ যাত্রী আটক
মাসুদ আলম : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এবার স্বর্ণের চাকতি ও ৪ টি স্বর্ণের চুড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়ন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ৩৪৭ গ্রাম ওজনের ওই চাকতি ও স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য আনুমানিক ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় মাহাবুবুল আলম নামের দুবাই ফেরত এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আটক যাত্রী ইকে ৫৮৪ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। এদিকে একই বিমানবন্দর থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রাসহ এক নারী যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মইনুল খান জানান, ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে মাহাবুবুল আলম বুধবার রাতে দুবাই থেকে ঢাকায় আসেন। তার পাসপোর্ট নম্বর বিকে০৯১২৯৪১।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকালে শুল্ক গোয়েন্দার দল মাহাবুবুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তিনি স্বর্ণ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার সঙ্গে থাকা এলইডি লাইট ভেঙ্গে ২৪৮ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের চাকতি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তার পরিহিত প্যান্টের পকেট থেকে ৯৯ গ্রাম ওজনের ৪টি স্বর্ণের চুড়ি উদ্ধার করা হয়। চাকতি ও স্বর্ণালঙ্কারের মোট মূল্য ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। তারা পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি চলতি বছরে ২ বার বিদেশ ভ্রমন করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক মাহাবুবুল জানান, তিনি একজন দোকান মালিক। শুল্ক গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে এই অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন।
এ ঘটনায় শুল্ক আইন অনুযায়ী মামলা হয়েছে। মইনুল খান আরও জানান, একই বিমানবন্দর থেকে গতকাল সকালে ৫২ লাখ ২৯ হাজার টাকা সমমূল্যের ২ লাখ ৪৯ হাজার সৌদি রিয়েলসহ খাদিজা বেগম নামের এক নারী যাত্রীকে আক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর কর্তৃপক্ষ। মূদ্রাগুলো ওই নারী তার শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে চট্টগ্রাম বিমানে (আরএক্স-০৭৮৬) চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। গাজীপুরের মন্নুনগরের আরিচপুরের বাসিন্দা ওই নারীর বয়স ৭০ বছর। মইনুল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের ডোমেষ্টিক চেকইন কাউন্টারে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বৈদেশিক মুদ্রা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর যাত্রীকে কাস্টমস হলে নিয়ে তল্লাশি করে জব্দকৃত সৌদি রিয়ালগুলো উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি এসব মুদ্রার সপক্ষে কোন দলিলাদি দেখাতে পারেন নি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, জনৈক সোহেল নামের এক ব্যাক্তি তাকে এক লাখ টাকার বিনিময়ে মুদ্রাগুলো চট্টগ্রাম বিমান বন্দর পর্যন্ত পৌছে দিতে বলেন। তিনি মুদ্রা চোরাচালানে সহায়তা করছিলেন।