আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল’
তরিকুল ইসলাম সুমন : আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস আজ। এদিনকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ সহনীয় আবাস গড়ি, নিরাপদে বাস করি’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৭’ পালন করা হবে। বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার কাজে স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করেন, যা সদ্য স্বাধীন দেশের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে একটি অনন্য মাইলফলক ছিল।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, বর্তমান সরকার দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমে কাঠামোগত ও অবকাঠামোগত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জনগণ যাতে বিনামূল্যে আবহাওয়ার বার্তা পায়, সেজন্য আমরা যে কোনো মোবাইল থেকে ১০৯০ নম্বরে (টোল ফ্রি) ফোন করে আবহাওয়া বার্তা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ভূমিকম্প মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই ১৬৯ কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল গঠন, ন্যাশনাল ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য জমি বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ১৩ হাজার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প চলমান আছে। মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্প এবং গ্রামীণ রাস্তা হেরিং বোন বল্ড করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, বজ্রপাত মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই সারাদেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণ কার্যক্রম চালু হয়েছে। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ। তিনি ঘূর্ণিঝড় থেকে জানমাল রক্ষায় মুজিব কিল্লা নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ