বেনাপোল স্থলবন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন অপর্যাপ্ত ভোগান্তি অপরিসীম
অর্থনৈতিক ডেস্ক : অপ্রতুল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতির স্বল্পতা রয়েছে। পণ্যজট তো রয়েছেই। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির অভিযোগ। এসবের বাইরে বর্তমানে বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারীদের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জলাবদ্ধতা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় বন্দরের গুদামগুলোর প্রবেশমুখে পানি জমে থাকছে। যেকোনো সময়ে পণ্যাগারে পানি ঢুকে যেতে পারে। বড় আকারের ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন আমদানিকারকরা। তাদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়াই এ অবস্থার কারণ। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করার ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা কয়েক দফায় দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, কিছু উন্নয়ন কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। বণিক বার্তা
বন্দরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় আকার ধারণ করেছে যে, এখন পণ্যাগারের প্রবেশমুখেও হাঁটু সমান পানি জমে থাকছে। হেঁটেও সেখানে চলাচল করা দায়। এমনিতেই বন্দরে পণ্য রাখার পর্যাপ্ত শেড না থাকায় আমদানিকৃত মূল্যবান পণ্য খোলা আকাশের নিচে রাখা হচ্ছে। পানি ও কাদায় এসব পণ্য নষ্ট হয়ে আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর ওপর আবার গুদামে পানি ঢুকে গেলে লোকসানের পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধাজনক হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ রয়েছে অনেক বেশি। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে এ সম্ভাবনা নষ্ট হচ্ছে। বেনাপোলে মাত্র ৩২টি পণ্যাগার, একটি রফতানি টার্মিনাল ও একটি ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল রয়েছে। বন্দরের পণ্য ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার টন। অথচ সারাবছরই সেখানে এর দ্বিগুণ আমদানি হয়ে থাকে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। সরকার বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করছে এখান থেকে।