সমকাল প্রথম আলো ডেইলি স্টার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : গুজব থেকে রেহাই পাচ্ছে না দেশের প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমও। গত শনিবার সমকাল, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ দেশের প্রায় সবগুলো প্রথম সারির গণমাধ্যমের মাস্টারহেডের স্ক্রিনশট নিয়ে অনলাইনে ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত পত্রিকার ভুয়া প্রথম পাতা তৈরি করা হয়। সেখানে প্রধান বিচারপতি ও সরকারকে জড়িয়ে সংবাদের মনগড়া শিরোনাম দিয়ে ছড়ানো হয় বিভ্রান্তি। গণমাধ্যমের এসব ভুয়া পাতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসার পর বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ বলছে, এটি সাইবার ক্রাইম। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ডিসি আলিমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ভার্চুয়াল জগতে প্রধান বিচারপতিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এসেছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্ত করতে কাজও শুরু হয়েছে। তবে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যারা এসব মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে তাদের ধরা খুব সহজ নয়। কারণ, অধিকাংশ আইডির আইপি ঠিকানা দেশের বাইরে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির ছুটির ইস্যুকে কেন্দ্র করে কথিত দূরবীন টিভি, সোনালী টিভি, এআর টিভি, এসকে টিভি, রিয়েল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম ভয়ঙ্কর সব গুজব ছড়িয়ে ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার করে। গত ৩ অক্টোবর কথিত দূরবীন টিভির বরাত দিয়ে ইউটিউবে পাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে এসকে সিনহাকে আটক করা হচ্ছে। অশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণে সেখানে আরও বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সিনহাকে সুপারসনিক গতিতে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ওই ভিডিওটি দেখেছেন ১২ লাখ আট হাজার ৮৬৮ জন। এআরটিভির আরেকটি বানোয়াট খবরের শিরোনাম দেওয়া হয়, ‘এই মাত্র পাওয়া খবর, প্রধান বিচারপতি নিখোঁজ।’ ইউটিউবে এই ভিডিও হিট করেছেন ১০ লাখ চার হাজার ৮৮৫ জন। এ গুজবে অনলাইনে হিট করেন ১০ লাখ ৪৮৪ জন। পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজব ছড়ানো হয় কথিত এমকে টিভি নামে প্রচারিত ভিডিওতে। সেখানে বলা হয়, ‘পদ্মার তলদেশে দানব গিলে খাচ্ছে পিলার।’ এ ছাড়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনকে কেন্দ্র করেও ভুয়া ছবি ব্যবহার করে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু