অস্ট্রিয়ার নির্বাচন ইউরোপের সবচেয়ে তরুণ নেতা হতে যাচ্ছেন ডানপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ক্রুজ
লিহান লিমা : রোববার অস্ট্রিয়ায় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিলেন দেশটির নাগরিকরা। এ নির্বাচনে ৩১ বছর বয়সী রক্ষণশীল পার্টির নেতা এবং বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান ক্রুজকেই অস্ট্রিয়ার পরবর্তী নেতা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৩ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন ক্রুজ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে অস্ট্রিয়ার বর্তমান জোট সরকারের দল ‘অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি-ওভিপি, ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এসপিও’ ও ‘দ্য ফার-রাইট ফ্রিডম পার্টি।’ নির্বাচনি পুল বলছে, জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন পপুলিস্ট ও ডানপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী ক্রুজ। ভোটাররা তাকে বেছে নিলে অস্ট্রিয়া পাবে ইউরোপের সবচাইতে তরুণ সরকারপ্রধান। নির্বাচনের একদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ক্রুজ বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে হবে। কারণ এছাড়া অস্ট্রিয়ার নিরাপত্তা ও সুসংহতি রক্ষার কোনো সুযোগ নেই।’ এছাড়া তিনি দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, রাজনৈতিক ইসলামের বিরদ্ধে লড়াই এবং অভিবাসীর সংখ্যা সীমিত করার কথা বলেছেন।
মধ্য ডানপন্থী এসপিও সামাজিক অসমতা দূরীকরণের প্রচারণা চালিয়েছে। মনে করা হয় পরবর্তী জোটে সরকারের সঙ্গে যোগ দেয়ার সুযোগ রয়েছে এসপিও’র। আর অন্য দুই দলের মূলনীতি অভিবাসন ও ইসলাম। পিপলস এবং ফ্রিডম পার্টি উভয়েই অস্ট্রিয়ার সীমান্ত সুরক্ষা, অবৈধ শরণার্থীদের অতি দ্রুত ফেরত পাঠানোর কথা বলেছে।
উল্লেখ্য, অতীতে অস্ট্রিয়ায় নির্বাচনি প্রচারণায় কর, অর্থনীতি, শিক্ষা এসব বিষয় প্রাধান্য পেলেও এবার আলোচনায় আসছে অভিবাসন, শরণার্থী, ইসলামাইজেশন। সূত্র: বিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফ, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ