সাক্ষাৎকারে সাইফুল হক প্রধান বিচারপতির ছুটির ঘটনা নিয়ে সরকারের সততা ও প্রতারণা বাজেভাবে ধরা পড়েছে
রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সম্প্রতি অস্টেলিয়া যাওয়ার পূর্বে তিনি তার শারীরিক অবস্থার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি যে অসুস্থ নন এ কথা তিনি মিডিয়ার কাছে পরিষ্কার বলেছেন। তার ছুটির ঘটনা নিয়ে সরকারের সততা, মিথ্যাচার ও প্রতারণার বিষয়টি খুবই বাজেভাবে ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য গুরুতর অশনি সংকেত। গতকাল রোববার একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন। সাইফুল হক বলেন, প্রধান বিচারপতির অসুস্থতার ব্যাপারে আইনমন্ত্রী ও এ্যাটর্নি জেনারেলসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ যে কথা বলেছেন, সেটা যে পুরোপুরি মিথ্যাচার তাও স্পষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ সরকার প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ দেখিয়ে তার মেয়াদ পূর্তির আগেই তাকে বিদায় দেয়ার যে ব্যবস্থা করেছেন, সেটা একেবারেই নজীরবিহীন। ষোড়শ সংশোধনীর বাতিলের রায় সরকার ও সরকারি দলের পছন্দ হয়নি বলেই এখন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যে সমস্ত হয়রানিমূলক মামলা তৈরি করা হচ্ছে, তাকে যেভাবে হেনস্তা করা এবং বল প্রয়োগ করে তাকে যেভাবে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, তা বিচার বিভাগের অবশিষ্ট স্বাধীনতাকে যেমন ধ্বংস করবে, তেমনি বাংলাদেশ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনকে নিরঙ্কুশ করবে।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিচার বিভাগের মাজা ভেঙ্গে দেয়ার মধ্যদিয়ে বস্তুত সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর সরকারের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। ফ্যাসিবাদী শাসনকে সরকারের দীর্ঘস্থায়ী করার পথ আরও সুগম হবে। সরকারের এ সমস্ত অশুভ তৎপরতায় সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত হলো বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও তাদের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট আবারও গভীর খাদে পতিত হবে। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে সরকার ছুটির ঘটনাকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করলেও এটা সরকার ও সরকারি দলের জন্য এক নজীরবিহীন কলঙ্ক হয়ে থাকবে। তাদের জন্য এটা বুমেরাং হয়েও ফিরে আসতে পারে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ এ সকল অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী তৎপরতাকে শেষ পর্যন্ত যে পরাজিত করবে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সম্পাদনা : সাইদ রিপন