পাটের বস্তা না থাকলে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানি
ফারুক আলম : বিদেশ থেকে চাল আমদানিতে প্যাকেজিং আইন অনুযায়ী প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার নিষিদ্ধ। দেশে বন্যা হওয়ায় চালের সংকট দেখা দেয়। এ সংকট দূর করতে বিদেশ থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমাদিন করা যাবে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে পাটের বস্তা বাধ্যতামূলই রয়েছে। এ বিষয়ে এরই মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, যেসব দেশে পাটের বস্তা নেই, সেসব দেশ থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানি করা যাবে।
তিনি বলেন, পাটের বস্তা কি চালের চেয়ে বেশি দামি? জনগণ ভাত খাইতে পারে না। পাটের বস্তা দিয়ে কী হবে? এজন্য ইমারজেন্সি সময়ে যেসব দেশে পাটের বস্তা নেই, সেসব দেশ থেকে সরকারিভাবে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানি করা যাবে। তবে বেসরকারিভাবে পাটের বস্তায় চাল আমদানি করতে হবে। ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, তাদের দেশে পাটের বস্তা নেই। সেজন্য এসব দেশ থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল আমদানি করা হচ্ছে। তবে ভারতের কাছ থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাটের বস্তাতেই আমদানি করতে হচ্ছে।
বস্ত্র ও পাট সচিব আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে চাল আমাদানির কথা শুনছি সেদেশে পাটের বস্তা আছে কিনা সে বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে কোন চিঠি দেয়নি। চিঠি পেলে উত্তর দেবো। মূলকথা হচ্ছে- চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু বিষয় শীতিল করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্যাকেজিং অ্যাক্ট চালু হয়। এ আইন অনুযায়ী ১৭টি পণ্যে চটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। সম্পাদনা : হাসান আরিফ