নারীদের সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দরকার
ডা. তাজুল ইসলাম
আমাদের তো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে। অনেকেই একথা বলে যে, মেয়েরা বাইরে যদি একা না যায়, তাহলে রেপ কমে যাবে। রেপের ঘটনা খুব কম পার্সেন্ট হয় হঠাৎ, আর বেশির ভাগ হয় প্লান করে। বাসের ভেতরও যদি রেপ হতে হয়, তাহলে আমাদের দেশের কর্মজীবী নারীরা কেমন করে চলবে? চাকরিজীবী মহিলাদেরকে তো ঘর থেকে বের হতেই হবে। এটা কোনো সমাধান নয় যে, তারা ঘর থেকে বের হবে না বা বাসে উঠবে না। রাষ্ট্রকেই আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। যে কোম্পানীর বাস, তারাও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারে। তাদের বাসে কোনো অঘটন ঘটলে তারাই সমাধান দিতে পারে। আমাদের সাহসী কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের কিছুটা সর্তকতাও অবলম্বন করতে হবে যে, আমি যেখানে যাচ্ছি সেটা কতটুকু নিরাপদ? এবং পরিবেশটা আমার জন্য কতখানি ক্ষতিকর হতে পারে, এটা বিবেচনায় রাখতে হবে। আমি যে বাসটায় চড়লাম সেখানে আশে পাশে দেখলে, বিপদের কোনো আভাস পেলে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া লাগবে। আমি কোথায়, কার সঙ্গে, কোন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি এবং আমার সঙ্গি কারা? সেখানে কোনো বিপদের আভাস আছে কি-না? প্রথমত: সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। তারপর সামাজিক দায়িত্বশীলতা আর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। রাস্তায় আমরা বের হব না, এটা কোনো সমাধান নয়।
পরিচিতি : চিকিৎসক
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন