মানহানির অভিযোগে দৈনিক সমকালকে পিনাকী ভট্টাচার্যের উকিল নোটিশ
মাঈন উদ্দিন আরিফ : ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের ছড়াছড়ি’ এমন শিরোনামে দৈনিক সমকাল পত্রিকা ১৫ অক্টোবর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ডা. পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেইসবুক আইডি উল্লেখ করায় তার মানহানি হয়েছে অভিযোগ এনে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন ছাপার জবাব চেয়ে একটি উকিল নোটিশ পত্রিকাটিতে পাঠানো হয়েছে। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন ছাপার জবাব এবং যে গুরুত্বের সঙ্গে মানহানির প্রতিবেদনটি ছাপানো হয়েছে, ঠিক সেই গুরুত্বের সঙ্গে তার প্রতিবেদনটি ছাপাতে হবে এবং যে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে সেটি থেকে তার নাম সরাতে হবে, অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী পত্রিকাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে পিনাকী ভট্টাচার্য।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন ফেইক লোক নই। আমার একটা পরিচয় আছে। আমি কোন গুজব ছড়ানোর লোকও নই। কিছুদিন আগে দৈনিক সমকাল রয়র্টাসের একটা ছবি প্রকাশ করেছে রোহিঙ্গাদের। সেখানে রয়র্টাস এর ছবিতে ছিল যে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে হামলাকরীদের শনাক্ত করা যায়নি। আর সমকাল চাপিয়েছে যে হামলাকারীরা হলো বৌদ্ধ যুবক। তিনি বলেন, আমি এই লিখাটা আমার ফেইসবুক আইডিতে লিখেছিলাম, যার কারণে তারা আমার প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছে। আমার নাম অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ছাপিয়েছে।
এদিকে পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেইসবুকে দেখা গেছে তিনি সমকালকে নিয়ে যে লিখা দিয়েছেন সেটি ছিল ‘সমকাল পত্রিকাকে একটি হুঁশিয়ারি ও জরুরী বার্তা’ নামে একটি হেডলাইন করে। সেখানে তিনি লিখেছেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বার্তা সংস্থা ও ফটো এজেন্সি এএফপি দুইদিন ধরে একটি ছবি চাপিয়েছে এবং সেই ছবিটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমও গুরুত্বের সহকারে ছাপিয়েছে। কিন্তু দৈনিক সমকাল তাদের ক্যাপসনে লিখেছেন এই হামলাকারীরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। আর বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, ‘হামলাকারীদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তার মানে এই হয় যে, এই রকম প্রচারণায় বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করে সমকালের মতো কাগজগুলো আসলে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে?
তিনি সমকালকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, সমকালকে বলছি। এই ধরণের সেন্সেটিভ ইস্যু নিয়ে ফাইজলামি করবেন না। আমরা অনেকেই পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। মিথ্যা সংবাদ দিয়ে এই ধরণের উস্কানিমুলক খবর যে উদ্দেশ্যেই ছাপেন না কেন, কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির দায় পুরোটাই আপনাকে নিতে হবে। কথাটা খেয়াল রাখবেন। ছবিটা প্রত্যাহার করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। ২৪ ঘন্টা সময় দেয়া হল আপনাকে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ