সাক্ষাৎকারে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ছুটির নামে সরিয়ে দেওয়া হলো প্রধান বিচারপতিকে
কিরণ সেখ : প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ছুটির নামে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম একজন শীর্ষ নেতা। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও আগামী নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলোচনা করেন এই রাজনীতিবিদ। সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে ধরা হল।
প্রধান বিচারপতির ছুটির প্রসঙ্গে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ছুটি তো নিতে হয় নিজ থেকে। দেশি-বিদেশি সবাই এখন বুঝতে পারছে যে, এটা সে রকম ছুটি না। এই ছুটির পেছনে অন্য কোনো ঘটনা ও একটি চাপের বিষয় রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতিকে ছুটির নামে সরিয়ে দেওয়া হলো। কারণ প্রথমে বলা হলো, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ। কিন্তু প্রধান বিচারপতি যাওয়ার সময় বললেন, তিনি অসুস্থ নন, সুস্থ আছেন। সুতরাং কি ব্যাপারে তিনি বিদেশ গিয়েছেন, সেটা সময় বলে দেবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে জোটের এই শীর্ষ নেতা বলেন, জোট নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার ঘোষণা করার পরে অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন একটা সমঝোতা বা আলোচনা হতে পারে। আর সেই সময় আমরা ঠিক করব কিভাবে নির্বাচনে যাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে যাবো না।
আরেক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সংলাপের মধ্যে দিয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ দেশের সংকট সৃষ্টি করেছে রাজনীতিবিদরাই। সুতরাং এই সংকট দূর করার জন্য ইসি কাছে প্রত্যাশা করাও উচিত নয়। তাদের (নির্বাচন কমিশন) কাছে আমাদের প্রত্যাশা যে, ইসির যে শক্তি আছে, সেই শক্তি দিয়ে তারা দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন। কোন রাজনৈতিক দলের চোখ রাঙানিতে যেন তারা প্রভাবিত না হয়। আর রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে রাজনীতিবিদরাই, তাই এই সংকট রাজনৈতিকভাবেই রাজনীতিবিদদের সমাধান করতে হবে। কারণ ইসির কোনো রাজনীতি করার সুযোগ নেই।
বিজেপির এই চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান যে রাজনীতি চলছে, সেখান থেকে বের হওয়া আসা রাতারাতি সম্ভব নয়। কারণ এই রাজনীতিটা একদিনে কুলষিত হয়নি, বহু বছরে কুলষিত হয়েছে। এজন্য আরও অনেক সময় দিতে হবে, ভালো মানুষদের রাজনীতিতে আসতে হবে, রাজনীতিতে ভালো করার চেষ্টা থাকতে হবে, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসতে হবে, জনগণই যে সকল ক্ষমতায় উৎস এবং নির্বাচনে পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাস থাকতে হবে। এসব হলেই রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন হবে। কোনো ‘ফর্মূলা বা নির্বাচন’ রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন নিয়ে আসবে না। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ