প্রধান বিচারপতির ব্যাংক হিসেব খতিয়ে দেখা হবে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতির ব্যাংক হিসেব ও লেনদেনের রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রমতে, গত এক মাসে দুদকের কাছে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদকে ১২০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। এরমধ্যে দুদক কয়েকটি অভিযোগকে আমলে নিয়েছে। তবে এখনো অনুসন্ধান শুরু করেনি।
এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার জন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে হবে না। দুদকই অনুসন্ধান করতে পারবে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, গত দুই বছর ৭ মাসে এসকে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকারও বেশি। বেতন ছাড়াও লাখ ও কোটির হিসাবে টাকা জমা হয়েছে ২৬ বার। প্রধান বিচারপতির অ্যাকাউন্টে গতবছর ৯ নভেম্বরে দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি করে ৪ কোটি টাকা জমা হয়। একই বছরের ৮ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার ঋণ এ্যাকাউন্ট থেকে এই ৪ কোটি টাকার পে-অর্ডার এসকে সিনহার নামে ইস্যু করা হয়।
দুদক জানিয়েছে, সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখায় থাকা এসকে সিনহার এ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টেও এ তথ্যটি পাওয়া গেছে। যা তিনি আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার আবেদনের পর ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় দুটি ঋণ এ্যাকাউন্ট খোলা হয়। দুটি এ্যাকাউন্টের তথ্য ফর্মেই বর্তমান ঠিকানা হিসেবে লেখা রয়েছে প্রধান বিচারপতির উত্তরার বাড়ির ঠিকানা- উত্তরা সেক্টর ১০, সড়ক নম্বর ১২, বাড়ি নম্বর ৫১। এই দুই জনেরই স্থায়ী ঠিকানা প্রধান বিচারপতির সাবেক পিএস রঞ্জিতের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি এলাকায়। রঞ্জিত বর্তমানে সিঙ্গাপুর থাকলেও দেশের থাকার সময় তিনি এসকে সিনহার উত্তরার বাড়িতেই থাকতেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ