চীনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলন
বিশ্বজিৎ দত্ত : একটা সময় এদেশের কমিউনিস্টরাও শ্লোগান তুলতো চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান।এরমধ্যে পরিবর্তন হয়ে গেছে অনেক কিছু। চীনের সেই কমিউনিস্ট নেতৃত্বও নেই আবার আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট ভাতৃত্বের শ্লোগানেও ঘাটতি। শুরুটা হয়েছিল আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে বিভক্তি থেকে। চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নপন্থি কমিউনিস্ট। সোভিয়েত ইউনিয়ন আর নেই। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কমিউনিস্ট পার্টি। বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের অর্থনীতি ও প্রভাব। চীনা উন্নয়নের এই মডেল আদু সামজতান্ত্রিক না মিশ্র তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। এটা আমলে নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম কংগ্রেস।যাকেচীনের কমিউনিস্টপার্টির নেতারা বলছেন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট ভাতৃত্বের পুনর্জাগরনের কংগ্রেস। পার্টির নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্টদেরও আমন্ত্রণ করেছেন তাদের কংগ্রেসে। সেখানে তারা মূল্যায়ণ করতে চাইছেন কোথায় সোভিয়েত ব্যবস্থায় ভুল ছিল।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দালনের নেতৃবৃন্দ চীনের এই মূল্যায়ণ ও আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট ভাতৃত্ব জোরদারের বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্টপার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জানান,চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি। কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের মাধ্যমেই তাদের উন্নতি হয়েছে। আমরা একসময় চীনের আন্তর্জাতিক ভূমিকার সমালোচনা করেছি। এখন এই কংগ্রেসের মাধ্যমে তাদের আন্তর্জাতিক ভূমিকার যদি পরিবর্তন করে তবে আবারো বিশ্বব্যাপি কমিউনিস্ট আন্দোলন জোরদার হবে।
বাসদ নেতা খালিকুজ্জামান বলেন, কমিউনিস্ট বিপ্লব হবে সেই দেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে। চীন তাদের পদ্ধতিতে চীন বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাদের দেশের আর্থিক উন্নতি করেছে।আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্য বিস্তার করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাম আন্দোলনে তাদের ভূমিকা কম। আমরা তাদের ১৯ তম কংগ্রেসকে অভিন্দন জানাই। এই কংগ্রেসের মাধ্যমে তারা যদি আন্তর্জাতিক বাম আন্দোলনে তাদের ভূমিকা বৃদ্ধি করে তবে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের সকল নিপীড়িত মানুষের উপকার হবে।
বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক বলেন, চীনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাক্তিপুঁজি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে আয় বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরেও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চীন কমিউনিস্ট নেতৃত্ব ধরে রেখেছে। তারা যদি ১৯তম কংগ্রেসের মাধ্যমে বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে দাড়াতে পারে তবে আমরা তাদের সমর্থন জানাবো। আমরা আশা করতে চাই চীন এখন তা করবে। সম্পাদনা:হুমায়ুন কবির খোকন