সেনাবাহিনী ভোট সন্ত্রাসীদের মনে আতঙ্ক তৈরি করে: শওকত মাহমুদ
আনোয়ার হোসেন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে না বরং ভোট সন্ত্রাসীদের মনে আতঙ্ক তৈরি করে। নিবন্ধিত ৪২টি দলের মধ্যে ৩২টি দলই সেনা মোতায়েনের পক্ষে এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে, সেসব নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে হয়েছে। গতকাল রাহুল রায়ের উপস্থাপনায় চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর’র মুক্তবাক অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। সেনাবাহিনীকে দিয়ে যদি আপনি ঠিকাদারির কাজ করাতে পারেন, সাধারণ উন্নয়নমূলক কাজ করাতে পারে। সেখানে নির্বাচন একটি জাতির জন্য বড় ঘটনা। সেই নির্বাচনে সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে এতে অপত্তি কোথায়? এটা আমার বোধগম্য নয়। এখন মানুষের মনে সবচেয়ে বড় সংশয় হচ্ছে, যে ভোটটা সে দিলো তার যথাযথ ফলাফল সে পাবে কি না। মানুষ এখন ভোট কেন্দ্রে যেতে সাহস পায় না। সেই ক্ষেত্রে সেনা মোতায়ন ভোটারের নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করবে। পুলিশ ভোট কেন্দ্রে কি করে সেটা তো আমরা দেখেছি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নূহ-উল-আলম লেলিন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রধান আপত্তি হচ্ছে, সেনাবাহিনীক অন্য বাহিনীর পর্যায়ে নিয়ে না আসা। আপনি নির্বাচনটাকেই নির্ভর করাবেন সেনাবাহিনীর উপরে! তাহলে আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন তারা কি করবে? আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সেনাবাহিনী নিয়োগ করা না করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। সেনাবাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক তাদেরকে আপনি নিয়ে আসলেন পুলিশ, আনসার, বিডিয়ারের পর্যায়ে। এটা একবার করা হয়েছিলো, তখনও আমাদের আপত্তি ছিলো। সব মিলিয়ে আমাদের এখানে নির্বাচন কমিশনকে এমন ভাবে শক্তিশালী করতে হবে। যে এখানে কোন বাহিনীর-ই প্রয়োজন হবে না। আর এটা করতে না পারলে চিরকালই আমরা নির্ভরশীল হয়ে থাকবো।
অনুষ্ঠানে ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশিস সৈকত বলেন, গত নির্বাচনটি আসলে সব দলের অংশগ্রহণে ছিলো না। সে জন্য এবারের নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, এ নির্বাচনটি যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। এখন সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের চেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে, নির্বাচনটা কতটা অংশগ্রহণমূলক হলো। সে জন্য নির্বাচন কমিশন তাদের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই কাজটি সঠিক ভাবে তারা করছেন। এবারের আলাপে বিএনপিকে আশাবাদি মনে হচ্ছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু