ভারতীয় নাগরিকের ওপর হামলা ধামাচাপার চেষ্টা, হয়নি মামলাও
ম্সাুদ আলম ও নুরুল আমিন হাসান : রাজধানীর দক্ষিণখানে ভারতীয় তিন নাগরিকের ওপর হামলার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলাও হয়নি। অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় ওই বাসার দারোয়ান বজলুর রহমানকে আটক করলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, বাড়িতে লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গেছে দারোয়ানের সহায়তায় প্রধান ফটক দিয়েই হামলা কারীরা বাড়িতে প্রবেশ করে। তাদের মুখে কোনো মুখোশ ছিল না। কিন্তু হামলার পরই হামলাকারীরা মুখোশ দিয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা বাসায় প্রবেশের সময় দারোয়ানের কথা বলে। পুলিশের ধারণা, হামলাকারীদের সাথে বাড়ির দারোয়ানের যোগসাজশ রয়েছে। সেই সাথে হামলাকারীরা দারোয়ানের পরিচিত। শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণখান থানার আশকোনা এলাকার একটি বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয় তিন ভারতীয় নাগরিক। তারা হলেন শক্তি ভূষণ, বিচিত্রা সিং ও হারপিক সিং । তারা বাংলাদেশে ফেব্রিক্স এর ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট এর ব্যবসা করেন। জানা গেছে, আহত তিন ভারতীয় নাগরিককে চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান দক্ষিণখান থানার এএসআই শশাঙ্কর শেখর। আহতদের দুইজনের মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে। এদের এক জনের মাথায় প্রায় ৩১ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকের ওপর পিস্তল ও ছোড়া নিয়ে হামলা চালিয়ে টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
দক্ষিণখান থানার ওসি তপন চন্দ্র শাহা জানান, ওই রকম হামলা হওয়ার মতো কোনো ঘটনা না। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই বাড়িতে বহিরাগত দুই জন প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, বাসার দারোয়ানের বক্তব্য এরা এর আগেও আসছে। যখন ভারতীয়রা ভেতরে ছিল তখনও আসছে। আবার ভারতীয়দের সাথেও তারা রুমে প্রবেশ করেছিল। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাড়ির দারোয়ান বজলুর রহমান বলেন, তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানা এলাকায়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করেন। বাড়িটি সম্পূর্ণ সিসি ক্যামের দ্বারা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। বাড়ির মালিক ফখরুল হাসান জানান, আড়াই মাস যাবত মাসিক ১৭ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে তিনজন ভারতীয় নাগরিক বসবাস করছেন। শুক্রবার রাতে তারা নিজেরা নিজেরাই মারামারি করে আহত হয়েছেন। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন