কন্যাশিশুর উত্তরাধিকারের বিষয়টি আমরা সমষ্টিগতভাবে সমাধানের দিকে যাব : চুমকি
তাসকিনা ইয়াসমিন : আজ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে শিশু অধিকার সপ্তাহ। তবে বঙ্গবন্ধু তনয় শেখ রাসেলের জন্মদিন আগামীকাল বুধবার। এদিন তার জন্মদিন পালন শেষে শেষ হবে সপ্তাহের পুরো কার্যক্রম। এমনটিই জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। গতকাল সোমবার দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী কন্যাশিশুদের উত্তরাধিকারের বিষয়টিতে আলোকপাত করে বলেন, আমাদের বাংলাদেশের উত্তরাধিকার আইনটা একেক ধর্মে একেক রকম। মুসলিম ধর্মে এক নিয়ম, খ্রিস্টান ধর্মে এক নিয়ম আবার হিন্দু ধর্মে অন্য নিয়ম। যদিও বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ। এক্ষেত্রে মুসলিমদের মধ্যেও অনেককে দেখা যায় কন্যাশিশুকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে থাকে। আমরা উত্তরাধিকারের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। তবে ধর্মীয় কোনো বিষয়ে সকলে মিলিতভাবে এর সমাধান করতে চাই। যারা ধর্ম প্রচারের কাজ করেন, মুসলিমদের ইমাম, হিন্দুদের পুরোহিত, সব ধর্মের সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে সমাধানে আসতে চাই। আগে মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে ঘরের বাইরে অর্থ উপার্জনের কোনো কাজ করতে পারত না। বিয়ের আগে বাবার এবং বিয়ের পরে স্বামীর উপার্জনে চলত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন সে অবস্থার অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। এখন মেয়েরা ঘরের বাইরে অনেক কাজ করছে। তারা বয়স্ক বাবা-মায়ের দেখাশোনা করছে। এখন নারীদের উত্তরাধিকার নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। আমরা যদি মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের দিকে দেখি, তাহলে সেটি পূর্ণভাবে পালন করা হলেও নারীর ১০০ শতাংশ সমঅধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও পুরুষরা দেখা যাচ্ছে নারীদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আমরা নারী উন্নয়ন নীতিমালা করেছি। সেখানে উত্তরাধিকারের বিষয়টি বলেছি। ধর্মীয় বিষয়টিও আমরা দেখছি। সিডও সনদের ধারাটি বাস্তবায়নের ব্যাপারেও ভাবছি। আমরা কন্যাশিশুদের উত্তরাধিকার আইনটি নিয়ে ভাবছি না, তা না। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে সমষ্টিগতভাবে সমাধানের দিকে যাব।
শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবছর ১১-১৭ তারিখ পর্যন্ত এ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। এবার বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। কন্যাশিশুদের নিয়েও দিবস পালিত হয়েছে। আনন্দঘন পরিবেশে যেন শিশুরা বড় হয়, তাদের যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাদের কথা যেন সবাই শুনে- সেটা আমরা বলেছি। ১১ তারিখ জগন্নাথ হলের খেলার মাঠে পথশিশুদের নিয়ে সপ্তাহ পালন শুরু করি। তাদের ব্যাপারে কিভাবে সচেতন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কন্যাশিশু দিবসে আমরা র্যালি, আলোচনা সভা করেছি। কন্যাশিশুদের বাল্যবিয়ে বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ