রাজধানীতে বিশ্ব খাদ্য দিবস ও খাদ্য মেলা শেষ হচ্ছে আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’ (ঈযধহমব ঃযব ভঁঃঁৎব ড়ভ সরমৎধঃরড়হ. ওহাবংঃ রহ ভড়ড়ফ ংবপঁৎরঃু ধহফ ৎঁৎধষ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ) এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও) এর উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন ও খাদ্য মেলা ২০১৭ এর আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেটে আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম চত্বরে গত ১৬ হতে তিনদিনব্যাপি খাদ্য মেলা শুরু হয়েছে আজ বুধবার শেষ হচ্ছে। সোমবার সকাল ১০:০০ টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম চত্বর পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। বিকাল ২:৩০ টায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্যমেলার উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে মন্ত্রী বিকাল ৩:০০ টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে প্রতিপাদ্যের ওপর আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে একটি নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে গেছে। এ বিপ্লব শুরু করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমানে এ বিপ্লবের নেতা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং এ বিপ্লবের রুপকার সফল কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কৃষির সোনালী সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। কৃষিতে গবেষণার বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে উন্নত গবেষণার ফলে আমরা খদ্য উৎপাদনে এগিয়ে গেছি এবং বিশ্বে কাছে আমাদের দেশ একটি মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। মন্ত্রী কৃষি গবেষনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন। সেমিনারের প্রধান বক্তা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা করে আমাদের কৃষি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের কৃষকের অদম্য মনেবলের কারনে আমরা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছি। ২০১০ সালের পর দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল। বাংলাদেশ শ্রীলংকাতে খাদ্য রপ্তানিও করেছিল।