ফার্মগেট ফুট ওভার ব্রীজে দোকানপাট বিড়ম্বনায় পথচারীরা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীতে পথচারীদের নির্বিঘেœ চলাচল নিশ্চিত করতে ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে ফার্মগেট ফুট ওভারব্রীজে হকারদের দোকানের পসরার কারনে হাটাচলায় বিড়াম্বনায় পড়ছেন পথচারীরা। বিশেষ করে মহিলা ও নারী শিক্ষার্থীদের চলাচলের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে বিপত্তি।
দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি এই ফুট ওভারব্রীজটি মানুষের ভীড় লেগে থাকে। রাস্তা পারাপারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এ ওভারব্রীজটি। বেশ কিছুদিন আগেও এ ব্রীজে কোন দোকান পাট ছিলনা। সম্প্রতি কয়েকজন হকার পুলিশের যোগসাজশে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি দোকান বসিয়েছেন। দোকান প্রতি প্রতিদিন মোটা অংকের চাঁদাও তোলা হচ্ছে। জসিম নামের এক হকার এই চাঁদা তোলেন। আর তাকে সহায়তা করেন মাহবুব নামের অরেকজন। এই চাঁদার ভাগ যাচ্ছে কতিপয় নেতাদের পকেটেও। পথচারীরা বলছেন, সকালে বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাতায়াতের সময় বিড়ম্বনায় পড়ছেন মায়েরা। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেজগাঁও স্কুল, হলিক্রসসহ কয়েকটি স্কুলে যাতায়াতকারি নারী শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিপত্তি দেখা দিচ্ছে। দোকান বসানোর কারনে ব্রীজের মাঝখানে সরু পথ দিয়ে চলাচল করতে হয়। যাওয়া আসার সময় একজনের সঙ্গে অন্যজনের অনেক সময়ই ধাক্কা লেগে যায়। একজন পুরুষের সঙ্গে অন্য পুরুষের ধাক্কার ঘটনা তেমন কোন সমস্যা না হলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা খুবই বিব্রতকর।
মাঝেমধ্যে এ নিয়ে বচসাও হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দোকান তুলে দিলে নির্বিঘেœ চলাচল করা যেত। শুধুমাত্র ভিআইপি চলাচলের সময় ব্রীজের দোকান তুলে দেয় পুলিশ। আর অন্য সময় অবাধে দোকান বসিয়ে ওপেন মার্কেট বানিয়ে ফেলে হকাররা।
এদিকে ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনের ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলার কারনে বড় ওভারব্রীজে মানুষের চাপ বেড়ে গেছে। ওই ব্রীজটি পুনরায় নির্মাণের জন্য গত রোববার তেজগাঁও গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন করেছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এই ওভারব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে তারা।