রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জটিল হবে, যদি না নাগরিকত্বের বিষয়টি পরিষ্কার হয়
মে. জে. আবদুর রশীদ (অব.)
রোহিঙ্গাদের উপর যে নির্যাতন হয়েছে, যেখানে যে পরিমান হত্যা হয়েছে এবং যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেগুলো এখন গণহত্যার যে সংজ্ঞা তার আওতায় পরছে কি-না সেটি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক মহল বলছে যে, গণহত্যা বলা যাচ্ছে না কিন্তু এথনিক ক্লিনজিং বা জাতিগত নিধন বলা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংঘাতিক ভাবে ভাবছেন যে- না, তারা এখানে থাকতে পারবে না। আমরা মানবিক কারণে এদের আশ্রয় দিয়েছি এবং এদেরকে মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। যখনই আপনি প্রশ্ন করবেন, যেটা খবরের কাগজে আসছে এবং এখানে ৯৯ শতাংশ বলবে যে, তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তোমরা ফিরে যেতে চাও কি-না? তারা না যাওয়ার পক্ষে মত দিতে পারে। কারণ, যে নির্যাতনের মুখে পড়ে তারা বাংলাদেশে এসেছে পুনরায় তার ভয় কাজ করবে। যদি আমাদের কন্ডিশনগুলো পাবলিকলি প্রেসেন্ট করা যায় তখন কিন্তু মিয়ানমার গভর্ণমেন্ট এর উপর এটা বাধ্যবাধকতার পর্যায়ে চলে আসবে। দুই সরকারের কনজামশনের জন্যে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে ‘বার্মায় নির্যাতন ও সন্ত্রাস তদন্ত নাগরিক কমিশন’ কাজ করবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জটিল হয়ে যাবে, যদি না নাগরিকত্বের বিষয়টি পরিষ্কার হয়। সেজন্য মিয়ানমার সরকারকে বলতে হবে, আগে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সেটেল কর, তারপর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। না হয় তো তারা আবার নির্যাতনের শিকার হতে পারে। আমরা যদি রোহিঙ্গাদেরকে এই স্ট্যটাস দিতে পারি তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের সম্মানটা আরো বেড়ে যাবে। শরণার্থী স্ট্যাটাসটা আমরা এফোর্ড করতে পারছি না। ’৭১ সনে ইন্ডিয়া আমাদের পাসপোর্ট দিয়েছে না বাইরে যাওয়ার জন্যে। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেলে বাংলাদেশের বিরূদ্ধে তখন অভিযোগ আসবে যে, বাংলাদেশ জঙ্গি রক্ষা করছে, জঙ্গিদের পসপোর্ট দিয়ে দিয়ে বাইরে পাঠাচ্ছে।
পরিচিতি: নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
সম্পাদনা : আশিক রহমান