‘ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন এস কে সিনহা’
এনামুল হক : এস কে সিনহা ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পুরনো। সরকারের এই ধরনের একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি করা কোনোভাবেই সমীচীন হয়নি। এর দায়ভার সরকারকেও নিতে হবে। টিভিএনএ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারকদের অপসরণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল। তখন উচ্চ আদালতে দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকায় এস কে সিনহার নামও ছিল। এর প্রেক্ষিতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে এস কে সিনহাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু এস কে সিনহা পরে তা করেননি।
ইকতেদার আহমেদ বলেন, এস কে সিনহা যখন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক ছিলেন তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সব জেনে বুঝে সরকার তাকে প্রথমে আপিল বিভাগে এবং পরে প্রধান বিচারপতির করেন। তাই বর্তমান সংকটের জন্য সরকারের বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তারাও দায়ী। এই সংকটে একদিকে যেমন সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিক তেমনি এস কে সিনহাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের মান-মর্যাদা ক্ষুণœ হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে প্রধান বিচারপতিকে এমন অবমাননাকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি। এস কে সিনহা এখনো ক্যান্সারে আক্রান্ত কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার সরকারি হাসপাতাল বা কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসকের। আমরা যতটুকু জানি তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তার চিকিৎসার খরচের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তিনি তখন চিকিৎসা সম্পূর্ণ শেষ না করেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য দেশে চলে এসেছিলেন। তবে এখনো তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত কি না এই ব্যাপারে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত আমরা পাইনি। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী