ঘণ্টায় ৩৬ জন নেবুলাইজার পাবে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে
রিকু আমির : রাজধানীর মহাখালীতে ৭০০ শয্যার বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতি ঘণ্টায় ৩৬ জনকে নেবুলাইজার দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. বশীর আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সেন্ট্রাল নেবুলাইজার সিস্টেম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এটুআই প্রকল্পই এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটে সংযোজন করে। এটুআই ও জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় অ্যাজমা সেন্টারের অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সবসময়ই গরিব-দুঃখী জনগণের সরকার। এজন্যই এমন একটি কাজ এমন একটি হাসপাতালে এটুআই করেছে, যেখানে চিকিৎসা নিতে আসে গরিব মানুষ। বক্ষব্যাধি হাসপাতালও এটুআইর প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করে এই পদ্ধতি চালু করেছে। এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।
আগামী জুন-জুলাই নাগাদ নির্মাণাধীন রাজধানীর চাঁনখারপুলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকেও আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এই বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে ১৫০০ শয্যার করা হবে।
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো প্রশ্ন উঠছে না মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে। খুব স্বচ্ছতার সঙ্গেই পরীক্ষা হচ্ছে। মেডিকেল কলেজগুলোকেও নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে আনা হচ্ছে। মেডিকেল কলেজ কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয়। এখানে পড়ে ডাক্তার হবেন, বেরিয়ে যাবেন, মানুষের সেবা করবেন। মেডিকেল শিক্ষা নিয়ে কখনোই আপস করা হয়নি, হবেও না।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়Ñ এটুআই দ্বারা পরিচালিত তরুণ উদ্ভাবকদের অংশগ্রহণে সল্ভ-এ-থন প্রতিযোগিতা ২০১৬-এ উদ্ভাবনী প্রকল্প ‘সেন্ট্রাল নেবুলাইজার সিস্টেম’ বিজয়ী প্রকল্প হিসেবে রূপান্তর করা হয়। এটাই বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের সহায়তায় এখানে সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নেবুলাইজিং পাইপ ও ওষুধের ডোজ একটি সুইচ ব্যবহার করেই ডিভাইসের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং আলাদাভাবে রোগীর সমস্যার তীব্রতা বিবেচনা করে নেবুলাইজিং করা যাবে। সেন্ট্রাল নেবুলাইজারের সাহায্যে একই সময়ে অনেক রোগী একইসঙ্গে সেবা নিতে পারবেন। একজন রোগীর বেলায় নেবুলাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে মেশিনটি কেবল ওই রোগীর বিছানার সঙ্গে সংযুক্ত পাইপের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। মূলত এটি সাধারণ নেবুলাইজারের বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নে অধ্যাপক ডা. বশীর আহমেদ জানান, খুব শিগগিরই বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই পদ্ধতির নেবুলাইজার চালু করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সমীর রঞ্জন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহেদুর রহমান খান, অধ্যাপক ডা. বশীর আহমেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী