ক্যামব্রিজ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ১৩৭ যৌন অভিযোগ
মরিয়ম চম্পা : ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বর্ষের শিক্ষার্থী ম্যাথিউ ফেল্ডার’র বিরুদ্ধে শিশুসহ প্রায় ১৩৭টি যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ক্যামব্রিজের এই শিক্ষার্থী তার নিজ মুখে যৌন হয়রানির কথা স্বীকারও করেছেন। বিভিন্ন বয়সীরা তার যৌন হয়রানির শিকার। ২৮ বছর বয়সি ড. ম্যাথিউ ফেল্ডার ভিক্টিমদের বিভিন্ন সময়ের খুব স্পর্শকাতর ছবি দিয়ে প্রতারণা করে একের পর এক ফাঁদে ফেলে যৌন হয়রানি করতেন।
তার যৌনতার প্রথম লক্ষ্যবস্তু ছিল শিশুরা। তাদেরকে বিভিন্নভাবে ফুঁসলিয়ে-পটিয়ে অশ্লীল ছবি দেখিয়ে যৌনতায় রাজি করাতেন। এমনকি চার বছরের শিশুর সঙ্গেও যৌনতায় উৎসাহী ছিলেন তিনি।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভূতত্ত্ববিদ জানান, ম্যাথিউ’র বিরুদ্ধে ৫০ জনের ও বেশি ভিক্টিম ৬৬৬ ডেভিল এন্ড এভিলমাইন্ড নামে অনলাইনের একটি পেইজে তার যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তার যৌন হয়রানির এই ঘৃণিত খেলা শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। এরপর ওই বছরের জুনের ২১ তারিখ ফেল্ডার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। বার্মিংহামের এক নারী তার ব্যাক্তিগত পেইজে লিখেন, ‘ও একটা প্রতারক।’ তিনি জানান, ‘ম্যাথিউ তার সাথে বিভিন্ন সময়ে তোলা ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি পাঠিয়ে প্রায়ই ব্লাকমেইল করতেন।’
ফেল্ডার এতটাই বিকৃত রুচিসম্পন্ন ছিলেন সে তার ভিক্টিমকে অপমান অপদস্থ করে খুব আনন্দ ও মজা পেতেন। যেটা তাকে আরও যৌন হয়রানিতে উৎসাহিত করে। ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড