তৃতীয় দিনেও উদ্ধার হয়নি খালে পড়ে যাওয়া শিশু হৃদয়
মাসুদ আলম : রাজধানীর উত্তর মুগদা মদিনাবাগ এলাকার জিরানী খালে পড়ে নিখোঁজ তিন বছরের শিশু হৃদয়ের এখনও কোনো হদিস মেলেনি। নিখোঁজের তৃতীয় দিন গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালায়। পাশাপাশি নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে সহযোগীতা করছেন। কিন্তু ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারিকে উদ্ধার কাজে দেখা যায়নি।
রোববার বিকাল ৫টার দিকে বাঁশে সাঁকো দিয়ে পার হতে গেলে ওই খালে পড়ে যায় হৃদয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছে খালে অতিরিক্ত ময়লা-আবর্জনা থাকায় উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা কামাল হোসেন ও মা রোজি। একটু পর পর মুুর্ছা যাচ্ছে। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা সান্তনা দিলেও কিছু যেন তাদের মন মানছেনা। হৃদয়ের মা রোজি বলেন, আমার হৃদয়রে আপনারা খুঁইজা আইনা দেন। আমি একবার আমার ছেলেরে দেখমু। তারে ছাড়া আমি বাচুম না। জিরানী খালের পাশে টিনশেড বাড়ির একটি ঘরে ভাড়া থাকে নিখোঁজ হৃদয়ের পরিবার।
রোজি আরও বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী এলাকায়। তবে ছোট বেলা থেকেই তিনি এই মুগদা মদিনাবাগ এলাকায় বসবাস করে আসছেন। গত তিন মাস ধরে খালের পাশে এই বাড়ির একটি ঘর ১ হাজার ৮’শ টাকায় ভাড়া নিয়ে থাকছেন। তার স্বামী দিনমজুর।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) দেবাশীষ বর্ধন বলেন, শিশুটি নিখোঁজের পর থেকেই উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। খালটি ঢাকা ওয়াসার আওতায়। খালে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা রয়েছে। খালের উপরিভাগে ময়লার স্তুপে শক্ত আবরণ তৈরি হয়ে গেছে। তাই উদ্ধার কাজে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসকে স্থানীয়রা সহযোগীতাও করছে। ময়লা-আবর্জনা অপসারণের জন্য ঢাকা ওয়াসার কাছে আমরা সহযোগিতা চেয়েছি, কিন্তু তারা না করে দিয়েছে। গতরাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু