স্বাস্থ্যসম্মত দুধ ও মাংসের ঘাটতি মেটাতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে বিশাল প্রকল্প
মতিনুজ্জামান মিটু : স্বাস্থ্যসম্মত দুধ ও মাংসের ঘাটতি মেটাতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এক বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এটিই হবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এর আগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এতো বড় প্রকল্প কখনোই বাস্তবায়ন করেনি। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আইনুল হক বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নেয়া এই বিরাট প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ চলছে। আশা করা যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশের চাহিদা অনুযায়ি স্বাস্থ্যসম্মত দুধ ও মাংসের জোগান দেয়া সম্ভব হবে।
প্রকল্পটির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রকল্পটির নাম ডেইরী রেভ্যুলেশন অ্যান্ড মিট প্রোডাকশন প্রকল্প রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অর্থনীতিবিদ ড. মো. রুহুল আমিন। তিনি বলেন, প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। তৈরী করা হচ্ছে প্রকল্পের দলিলপত্রসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট। আশা করা হচ্ছে সব প্রস্তুতির পর ২০১৮ সালের শেষ দিকে প্রকল্পটি পাশ হবে। ২০১৯ সালে প্রথম পর্যায়ে ৮বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। প্রকল্প ব্যয় এখনো নির্ধারিত হয়নি।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ইতিহাসে এতো বড় প্রকল্প আর কখনোই নেয়া হয়নি। আমাদের দেশে দুধ এবং মাংসের উৎপাদন প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে এই প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা রাখবে। নিরাপদ উপায়ে আমাদের দেশের দুধের ঘাটতি (বছরে ৫৫লাখ মেট্রিক টন) মেটাতে এবং স্বাস্থ্যসম্মত মাংসের চাহিদা মেটাতে এ প্রকল্প কাজ করবে। প্রতিটি মানুষের মাথাপ্রতি ১২০ গ্রাম হারে বছরে আমাদের দেশে মাংসের চাহিদা রয়েছে ৭১ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদা অনুযায়ী মাংস উৎপাদন হলেও তা নিরাপদ অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। নিরাপদ দুধ ও মাংসের জোগান ঠিক রাখতে এই প্রকল্প যুগান্তকারি ভূমিকা রাখবে।
আমাদের দেশে পথে ঘাটে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই ও দোকানে ঝুলিয়ে মাংস বিক্রি করা হয়। যা মানুষের স্বাস্থের জন্য ঝুকিপূর্ণ। এই প্রকল্পের আওতায় জবাই ও মাংস বিক্রির ব্যবস্থাকে একটি মানসম্মত ফ্রেমের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। আর তখন যেখানে সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জবাই ও ঝুলিয়ে মাংস বিক্রি করা সম্ভব হবেনা। এছাড়া গবাদিপশুর রোগ নির্ণয় ও দমনসহ ইত্যাদি কার্যক্রমও এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন