রূপালী ব্যাংকে শাজাহান খানের হুমকি অনধিকার চর্চা : খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ
জান্নাতুল ফেরদৌসী: রূপালী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সিবিএ নেতাদের পুনর্বহালে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের হুমকিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে। এতে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সুশাসন ও শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, আদালতে বিচারাধীন থাকায় চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের সুযোগ নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হুমকি দিয়ে অনধিকার চর্চা করছেন শাজাহান খান, যা ক্ষমার অযোগ্য।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বহিরাগতদের নিয়ে গত রোববার দুপুরের রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যান নৌপরিবহনমন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান। বৈঠক করেন চাকরিচ্যুত সিবিএ নেতা কর্মীদের সাথে। তাদের পুনর্বহালের দাবির পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেন নৌমন্ত্রী। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের। তাদের আশঙ্কা এ ঘটনা আবারও দৌরাত্ম তৈরি করবে সিবিএ নেতাকর্মীদের। ফলে ব্যাহত হতে পারে সুশাসন।
কর্মকর্তারা বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নতুনভাবে আতঙ্কগ্রস্ত করছে। এখন রূপালী ব্যাংক এই অবস্থায় থাকতে পারবে না আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। এরা অনেক সময় মানুষকে মারধর করে। এক কর্মচারীও এদের হাতে মার খেয়েছে। এরকম করা উচিত নয়। এরকম ভাবে কাজে পরিবেশ নষ্ট হয়। এখন কোর্ট যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেই অনুসারে আমরা চলবো।
নৌমন্ত্রীর এমন কা-ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক, সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মতে, এটি এক ধরনের অপরাজনীতি। এর ফলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও পরামর্শ তার।
বাংলাদেশ ব্যাংক, সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, মাননীয় মন্ত্রী ব্যাংকে গিয়ে যেটা করেছেন তা ঠিক নয় এবং সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। মন্ত্রী যেহেতু অনধিকার চর্চা করেছেন, তারা যেন কোনোভাবে এ ধরনের কথা না শোনান। তারা সেখানে বিশৃঙ্খলা করছেন। এটা বলবেন রাজনীতির স্বার্থে, এটা কি রাজনীতি নাকি অপরাজনীতি।
কর্মকর্তাদের সাথে অসদাচরণের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জুলাই মাসে সিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. কাবিল হোসেন কাজী সহ তিনজনকে চাকরিচ্যুত এবং ৫ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় রূপালী ব্যাংক। সূত্র : যমুনা টিভি