কোচিং বাণিজ্যে জড়িত ১১১ শিক্ষকের তালিকা করেছে দুদক
তাসকিনা ইয়াসমিন : কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নগরীর ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১১ শিক্ষকের তালিকা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান রেখে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে আইন প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। দুদক সূত্রে জানা যায় কমিশন এ প্রতিবেদনের অনুমোদন দিলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা গত আট মাস ধরে অনুসন্ধান শেষে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তিস্বরূপ অন্য শিফটে বদলী, অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি এবং বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি রোধের সুপারিশ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ২০ জুন শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে নীতিমালা তৈরি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসময় যে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কোচিং করাতে চান তাদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু এসময় কোচিং বন্ধে কোনো আইন করা হয়নি, নেই দোষী শিক্ষকের শাস্তির ব্যবস্থাও। দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় প্রায় তিন দফা অনুসন্ধান শেষে ৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১১ জন শিক্ষককে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করে কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। একইসঙ্গে দুদকের নজরদারিতে রয়েছে নগরীর ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানায়, রাজধানীর ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মোট ৩৬ জন, এরমধ্যে মতিঝিল শাখার ৩২ জন ও বনশ্রী শাখার ৪ জন শিক্ষক রয়েছে। মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৪ জন, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ জন, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন, ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ জন, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১৪ জন, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ৮ জন ও রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এ অনুসন্ধানটি পরিচালনা করছেন দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম। এছাড়া দলের অন্য সদস্যরা হলেÑ সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবদুল ওয়াদুদ, মনিরুল ইসলাম, ফজলুল বারী ও উপসহকারী পরিচালক আতাউর রহমান। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত