দ. আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাশরাফিদের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ
এল আর বাদল : দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক পরাজয় হয়ে গেছে আগেই। দুই টেস্টে হারের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পরাজিত হয়ে সেটি পূর্ণ করেছে লাল-সবুজের দেশ। সিরিজ হারের বদনাম থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারবে কী না মাশরাফিবাহিনী এই প্রশ্নটাই এখন দেশজুড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক এসব নিয়ে ভাবছেন না মোটেও। তার লক্ষ্য ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ থেকে দলকে রক্ষা করা। তাই আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন মাশরাফিরা। গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মাশরাফি বলেছেন, ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য জরুরি। আশাকরি আমরা পারবো। এদিকে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে গেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ঘরে তুলবে প্রোটিয়ারা।
আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে পার্লে, বোল্যান্ড পার্কে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায়। এটি জিতলে সিরিজের শেষ ম্যাচটা ফাইনাল বানিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু টস একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, এই মাঠের শেষ ইতিহাস বলছে পরে ব্যাট করলেই জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
প্রথম ওয়ানডেতে ২৭৮ রান করেও ১০ উইকেটের লজ্জার হার। সেদিন বৃথাই গেলো মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত সেঞ্চুরি। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর সময় মাশরাফিদের। এই বোল্যান্ড পার্কের ওয়ানডে আন্তর্জাতিক অভিষেক সেই ১৯৯৭ সালে। ২০০৩ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ৯ বছরে সেখানে কোনো আন্তর্জাতিক ওয়ানডে হয়নি। মোট ম্যাচ হয়েছে ১০টি। আর শেষ ম্যাচটি ২০১৩ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করে ২০৮ রান করেছিল। রোমাঞ্চকর ম্যাচটা ১ উইকেটে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।
ক্রিকেটের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, বোল্যান্ড পার্কে খুব বড় রান হয় এমন না, কিন্তু মাঠের সীমানা ছোটো। বোলারদের জন্য খুব বেশি কিছু থাকে না। আর ২০১৩ সালে ক্রিকেট এবং এই সময়ের ক্রিকেটের মধ্যে ফারাকটা তো খুব বেশি। আর পরে ব্যাট করে জেতার আরো উদাহরণ টানা যায় এই মাঠ থেকে। শেষ মৌসুমে দুটি ৫০ ওভারের ঘরোয়া ম্যাচ হয়েছিল এখানে। পরে ব্যাট করা দল জিতেছিল দুবারই। আর তা শেষ ওভারের রোমাঞ্চে। অবশ্য ম্যাচ দুটি ছিল দিবারাত্রির। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন