বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যার বেনিফিসিয়ারি ছিলেন কাদের সিদ্দিকী
মহিউদ্দিন খান মোহন
সিইসি নূরুল হুদা শহীদ জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক বলায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পর তা বর্জন করেছেন কাদের সিদ্দিকী। খুব কি অবাক হয়েছেন আপনারা? আমি মোটেও অবাক হইনি। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যার একজন বেনিফিসিয়ারি ছিলেন কাদের সিদ্দিকী। বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর তাকে টাঙ্গাইলের গভর্নর করা হয়েছিল। যদিও পনেরই আগস্টে সব ওলট পালট হয়ে যাওয়ায়, সেই গদিতে তার বসা হয়নি।
শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা-ের পর কাদের সিদ্দিকী ভারতে পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন; যা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সে সময় জিয়াউর রহমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে কাদের সিদ্দিকী রণে ভঙ্গ দিয়ে কলকাতায় আশ্রয় নেন। শেখ হাসিনা তাকে মন্ত্রী করেনি বলেই তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তবে অচিরেই তিনি পূর্বের জায়গায় ফিরে যাবেন বলে মনে হচ্ছে।
কাদের সিদ্দিকী নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা। জামায়াতের কারণে তিনি বিএনপির সঙ্গে ঐক্য না করার কথা বহুবার বলেছেন। অথচ জামায়াতের টিভি হিসেবে পরিচিত দিগন্ত টিভিতে মোটা অঙ্কের সম্মানীর বিনিময়ে টক শো উপস্থাপনা করতে তার একটুও বাঁধেনি। ওখানকার টাকা জামায়াতকে তার কাছে হালাল করে দিয়েছে।
দুঃখজনক হলো, এহেন নৈতিকতাহীন এই কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে বিএনপির আদিখ্যেতা। ইফতার মাহফিলে তাকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তার সাথে ঐক্য করার জন্য বিএনপির কিছু নেতার সে কী দৌঁড় ঝাঁপ! যাদের অতিউৎসাহে বেগম খালেদা জিয়া পর্যন্ত তার স্বামীর সরকারের সাথে শত্রুতাকারী এ লোকটিকে পাশে বসিয়েছিলেন, সেই সব মগজহীন নেতারা এখন কী বলবেন?
পরিচিতি : বিশিষ্ট সাংবাদিক
মতামত গ্রহণ : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ