বাস্তবের লক্ষীর মৃত্যু হয় অনাহারে আর লক্ষীর মূর্তি সাজানো হয় ১০০কোটি ব্যয় করে
আশিস গুপ্ত, নয়াদিল্লি : দিনের পর দিন পেটভরা খাবার না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ঝাড়খ-ের প্রত্যন্ত গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের একরত্তি মেয়েটি।অভুক্ত থেকে দুর্গাপুজোর সময় মৃত্যু হয় বছর এগারোর সন্তোষী কুমারীর। আর দুর্গার মেয়ে লক্ষ্মীদেবীর মূর্তি ও মন্দির সাজানো হল ১০০কোটি টাকার গয়না ও টাকা দিয়ে । তাও আবার কড়কড়ে আসল টাকা ও সোনার গয়না। প্রায় ১০০ কোটি টাকার মূল্যবান বস্তু ও টাকায় সেজে উঠেছে মধ্যপ্রদেশের রতলামের মন্দির। দিওয়ালি উপলক্ষ্যে রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দিরকে টাকা-গয়না দিয়ে এভাবেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ১০০ কোটি টাকার জিনিস দিয়ে দিয়ে মন্দির সাজানো হয়েছে। দিওয়ালির সময় ভক্তরা লক্ষ্মীদেবীকে সাজিয়ে তোলার জন্য টাকা, গয়না এবং মূল্যবান বস্তু প্রধান পুরোহিতের হাতে তুলে দেন। যেটা মন্দিরের গর্ভগৃহে রেখে দেওয়া হয়। প্রতিবছরই ভক্তরা এই রীতি বজায় রাখেন এবং মন্দির এভাবেই সাজিয়ে তোলা হয় প্রতি বছর। মন্দিরে আগত এক ভক্ত মমতা পোরওয়াল বলেন, ‘আমি গত ছ’বছর ধরে এই মন্দিরে আসছি। আমি খুব খুশী এই মন্দিরে এসে এবং আমি ভগবানের কাছে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি।’ দিওয়ালির সময়ও এই মন্দির এভাবেই সাজানো থাকবে বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সঞ্জয় বলেন, ‘গয়না, নগদ ও অন্যান্য বহুমূল্য দ্রব্য মিলিয়ে ১০০ কোটি টাকা হবে, যা দিয়ে মন্দির সাজানো হয়েছে। দিওয়ালির সময় ভক্তরা দুর-দুরান্ত থেকে এসে ভগবানকে কিছু না কিছু মূল্যবান জিনিস দান করে যান। আমরা সেগুলি সবই মন্দিরে যতœসহকারে রেখে দিই। মন্দিরের নিরাপত্তায় এই সময় পুলিস মোতায়েন করা হয়।’
পুলিসের এএসপি প্রদীপ সিং বলেন, ‘মন্দির যা দিয়ে সাজানো হয় তা খুবই মূল্যবান। কেউ যাতে চুরি করতে না পারে সে জন্য মন্দিরের গর্ভগৃহে সব সময় পুলিস রাখা হয়েছে।’ হাজারেরও বেশি ভক্ত দিওয়ালির সময় মহালক্ষ্মী মন্দিরে আসেন। ভাইফোঁটার পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ভক্তদের দেওয়া বহুমূল্য দ্রব্য আবার ফেরত দিয়ে দেন। প্রধান পুরোহিতের কাছে ভক্তদের দেওয়া মূল্যবান বস্তুর তথ্য সংরক্ষিত থাকে। যা মন্দিরের ভেতর নিরাপদের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়।