ভেটোর অধিকার না চাইলে ভারত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে পারে, নিকি হ্যালি
ইমরুল শাহেদ : ভারত দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য। কিন্তু জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য ভারতের সামনে একটাই পথ খোলা আছে। সেটা হলো ভেটোর অধিকার না চাওয়া।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিকি হ্যালি বলেছেন চীন এবং রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান কাঠামোয় কোনো পরিবর্তন আনতে চায় না। আর এই পরিবর্তন ভেটো ক্ষমতাকে কেন্দ্র করেই। নিরাপত্তা পরিষদে বর্তমানে পাঁচটি স্থায়ীসদস্য দেশ রয়েছে। তারা হল – যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও চিন। পাঁচ দেশেরই ভেটো দানের অধিকার রয়েছে, কেউ তা ছাড়তে চায় না। তাই ভারত যদি স্থায়ী সদস্য হতে চায়, তবে তাদের ভেটোদানের অধিকার না চাওয়াই ভাল। ওয়াশিংটনে ইউএস ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কাউন্সিলের এক সমাবেশে নিকি হ্যালি এ কথা জানিয়েছেন। তার দাবি, ভেটো ছাড়াও স্থায়ী সদস্য হওয়ার আরও অনেক সুবিধে রয়েছে।
নিকি হ্যালি বলেছেন, মার্কিন্ কংগ্রেস বা সিনেট নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের বিষয়ে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। ‘সত্যিকার অর্থেই পারে না। কারণ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মার্কিন কংগ্রেসের কথা শোনার কোনো কারণ নেই।’ তিনি বলেন, যে কোনো পরিবর্তনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্মত আছে। নেই শুধু চীন ও রাশিয়া। তারা কোনো পরিবর্তনই চায় না।
নিকি হ্যালি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়টা নিতান্তই জাতিসংঘের ইস্যু। আমি মনে করি ভারত তার বেশি সংখ্যক সমর্থক নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের ব্যাপারে কার্যকর প্রচেষ্টা চালাতে পারে।’ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের কথা ভারত দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছে। ভারতসহ জাতিসংঘের বেশির ভাগ সদস্যদেশ মনে করে বর্তমান জাতিসংঘ এবং ক্ষমতাশালী নিরাপত্তা পরিষদ চলমান এক বিংশ শতাব্দীর তৃণমূল বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কারণ নিরাপত্তা পরিষদের কার্যক্রমে তার কোনো প্রতিফলন নেই।
দিল্লি অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভেটো ক্ষমতা ছাড়া পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার প্রস্তাব তাদের কাছে মূল্যহীন। নিকি বলেন, পাকিস্তানকে চোখে চোখে রেখে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করতে পারে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তান ভূমিতে উগ্রপন্থীদের প্রশ্রয় দেওয়া মোটেই ভালভাবে নিচ্ছেন না। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাস রুখতে তিনি নতুন পরিকল্পনা করেছেন। তার অন্যতম স্তম্ভ হল ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্কের উন্নতি ঘটানো। সূত্র : এনডিটিভি