সোশ্যাল মিডিয়া : এখন মৌলিক চাহিদার অন্তর্ভুক্ত!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ২০০৬ সালের পরে থেকে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে আশাতীত। ফেসবুক এবং টুইটার এদের মধ্যে শীর্ষে। প্রযুক্তির এই মাধ্যমটি এখন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদায় পরিণত হবার পথে। মা হিসেবে আমি সোশ্যাল মিডিয়ার এই ব্যাপকতাকে কোন চোখে দেখব বুঝতে পারি না। আমার সন্তানটি আগে অবসর সময় কাটাতো বই পড়ে বা সাইকেল চালিয়ে, আর এখন তার সময় কাটে যোগাযোগ মাধ্যমে, আবার কখনও বিদ্যালয়ের কাজটিও তার কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। যখন দেখি আমার সন্তানের বন্ধুটি রেজাল্ট ভালো না করায় ফেসবুকে বন্ধুদের বিরূপ মন্তব্য (ইঁষষুরহম) সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে বা যখন পত্রিকায় রিপোর্ট দেখি ব্লু হোয়েল গেম খেলে বিদ্যালয়পড়–য়া ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বা করার চেষ্টা করেছে। যখন দেখি বিভিন্ন পর্নো সাইটে তরুণ সমাজের আনাগোনা বেড়ে গেছে, এ ব্যাপারে নানা রকম উদ্যোগ নিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না, বন্ধ করা যাচ্ছে না এসব সমাজ ধ্বংসকারী সাইটগুলো। মাদকদ্রব্যের মতো একটি আসক্তি না হলেও এই আসক্তির পরিণামও কখনও কখনও মৃত্যুর মতোই ভয়ংকর।
২০১৬ সালের বিশ্বব্যাপী ফেসবুক ব্যবহারকারীর পরিমান দেখার জন্য উই আর সোশ্যাল অ্যান্ড হুটস্যুট (ডব অৎব ঝড়পরধষ ধহফ ঐড়ড়ঃংঁরঃ) প্রতিষ্ঠান একটি জরিপ পরিচালনা করে, যেখানে ঢাকা সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী শহর হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের জরিপ অনুযায়ী ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে, যা বিশ্বের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর ১ দশমিক ১ শতাংশ। জরিপে প্রথম স্থানে রয়েছে ব্যাংকক। জরিপে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ও ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে বিবেচনার বিষয় হচ্ছে এতে সুবিধার দিকও আছে অনেক। তবে পাল্লায় কোনটি ভারিÑ সুবিধা না অসুবিধা?
লেখক : ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি