ত্রাণ সহায়তা নিয়ে জাতিসংঘ-মিয়ানমার আলোচনা ব্যর্থ
ইমরুল শাহেদ : জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেফ্রে ফেল্টম্যান বলতে গেলে শূন্য হাতেই মিয়ানমার থেকে ফিরে গেছেন। তিনি দেশটিতে পাঁচ দিন অবস্থান করেন। এ সময়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিপরাপদে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ত্রাণ সহায়তার জন্য ত্রাণকর্মীদের রাখাইনে প্রবেশের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
জেফ্রে ফেল্টম্যান জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি এবং সেনা প্রধান জেনারেল মিন অং-হলাংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানান, তাকে বিমানে করে রাখাইন রাজ্য ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে। তিনি সেখানে পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরগুলো দেখেছেন।
জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘মহাসচিব আন্তনিও গুতারেস বারবারই বলছেন মানবিক সহায়তা দানকারীদের বিনা বাধায় উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে প্রবেশ করতে দিতে হবে এবং শরণার্থীদের সসম্মানে তাদের ভূমিতে ফিরে আসতে দিতে হবে।’
জাতিসংঘ গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই এসব কথা বলে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাইনা যে, এই সফরেই আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এটা হলো একটা চলমান আলোচনা। আমরা চাইছি যত দ্রুত সম্ভব একটা ফল হাতে পেতে।’
এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জেনেভায় বলেছে, দশ থেকে পনের হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আটকে আছে। ইউএনএইচসিআর-র মুখপাত্র আন্দে্রঁ মাহেকিক বলেছেন, ‘মৃত্যুর হুমকি থাকা সত্ত্বেও তাদের কেউ কেউ বাড়ি থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু যখন তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তখনই তারা শরণার্থী শিবিরের দিকে রওনা দেন।’
মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ফেল্টম্যান বলেছেন, নিরাপত্তা রক্ষার খাতিরে দমন-পীড়ন কোনো সুষ্ঠু পদক্ষেপ হতে পারে না।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একাধিকবার আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু চীন ও রাশিয়ার আপত্তির কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। সূত্র : ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার