মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করতে হবে: ইউরোপীয় ইউনিয়ন
তরিকুল ইসলাম: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারকে অবশ্যই নিরাপদে প্রত্যাবাসন করতে হবে। খুবই কম সময়ে এতো শরণার্থীর পালিয়ে আসাটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের সংকট মোকাবেলায় সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে। ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেলিগেশন প্রধান ও রাষ্ট্রদূত রেনসে টিরিংক ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান গতকাল এ ভাবেই পরিস্কার করেন। রাজধানীর একটি হোটেলে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ রেনসে টিরিংক জানিয়েছেন, সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতীকী ব্যবস্থা। তাই এ সংকট মিয়ানমারকে সমাধান করতেই হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে কফি আনান কমিশন সুপারিশমালার বাস্তবায়ন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাষ্ট্রদূত জানান, রোহিঙ্গা সংকট দেখতে আগামী ৩০ অক্টোবর ঢাকায় আসবেন ইইউ’র মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার ক্রিস্টেস স্টাইলিয়ানিডিস। ৩১ নভেম্বর তিনি কক্সবাজারে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে এ বিষয়ে ইইউ’র অবস্থান জানাবেন। রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলেছে। তবে, রোহিঙ্গাদেও জন্য বাংলাদেশ মানবিক দিক থেকে সঠিক কাজটি করছে। যারা সহযোগিতা করতে চায় তাদের তা করতে দেওয়া উচিত। এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত রেনসে টিরিংক বলেন, বর্তমানে চীন মিয়ানমারে বিনিয়োগ করার যে আলোচনা চলছে সেটিও একটা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি আমন্ত্রণ জানায় তবে পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ‘ডিক্যাব’-এর প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।