‘জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ সিইসির এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা পেয়েছি কিন্তু বলবো না : কাদের
উম্মুল ওয়ারা সুইটি ও ফেরদৌস রায়হান : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেন বিএনপির সঙ্গে সংলাপে জিয়াউর রহমানকে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা’ বলেছিলেন, সেই ব্যাখ্যা আওয়ামী লীগ পেয়েছে। তবে তা তারা বলতে চান না।
তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সঠিক ব্যাখ্যা পেয়েছি। এ বিষয়ে কিছু বলার থাকলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারগণ বলবেন।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ২০ মিনিটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের প্রস্তাব সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা ইতি বাচক। আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে ১১ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এ সম্পর্কে প্রত্যেক নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এটা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব বলে মনে করি না। এ প্রস্তাবগুলো নিরপেক্ষ।
উল্লেখ্য, গত রোববার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসে সিইসি নূরুল হুদা দলটির নেতা সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের গুণগান করেন। তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে এবং দলনেতা হিসেবে জিয়াউর রহমান ৪ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত দিয়েই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের হোতা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের সংবিধান ও সকল প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ধ্বংস করে দেন, শুরু হয় স্বৈরশাসনের।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বৈরশাসক জিয়া তার অবৈধ ক্ষমতার বৈধতা পাওয়ার চেষ্টায় ১৯৭৭ সালে প্রহসনের গণভোটের আয়োজন করেন। তাতে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার হারায় এবং সব গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়।
জানা গেছে, সিইসির বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যার অবকাশ থাকায় বিতর্ক এড়ানোর জন্য কমিশনকে সতর্কতার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সূচনা বক্তব্যে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, প্রতিটি দলের সঙ্গে সংলাপেই সংশ্লিষ্ট দলের প্রোফাইল তুলে ধরা হয়। ৯ মিনিটের সূচনা বক্তব্যে সিইসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসার পাশাপাশি আওয়ামী সরকারের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন। পরে ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদও ক্ষমতাসীন দলের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন