হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
সাবিহা সুলতানা : লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবিরের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। এরপর বিচারক আগামী ১৯ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। এদিন সাক্ষ্য দেন- হুমায়ুন আজাদের ছাত্র মোহন রায়হান, উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের কনস্টেবল কামাল হোসেন এবং এসআই মো. আব্দুল হাই।
এই তিনজনই বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় সাক্ষ্য দেন। এদের মধ্যে আব্দুল হাই হত্যা মামলাতেও সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত হত্যা মামলায় ৪১ জনের এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় নয়জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন হুমায়ুন আজাদ। পরের দিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওই হামলার পর তিনি ২২ দিন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন।
ওই বছরের ১২ আগস্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানি যাওয়ার পর সেখানেই মারা যান তিনি। এরপর এটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপ নেয়।
মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটি তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন, জেএমবির সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। এদের মধ্যে আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক।
২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের প্রিজনভ্যান থেকে এ মামলার দুই আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে এদের মধ্যে রাকিব ওইদিন রাতেই ধরা পড়েন এবং পরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান।