প্রাচীন জলদস্যুদের কাপড়ে ‘আল্লাহ’ লেখা নিয়ে মতভেদ
পরাগ মাঝি : সম্প্রতি আবিষ্কৃত এক টুকরো কাপড়ের সূত্র ধরে প্রাচীন নর্ডিক জলদস্যুদের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের একটি যোগসূত্র ছিলো বলে মত দেন সুইডেনের আপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা দাবি করে, নর্ডিক জলদস্যুদের ব্যবহৃত একটি কাপড়ের বেন্ডে ‘আল্লাহ্’ ও ‘আলি’ লেখা রয়েছে। কিন্তু ওই কাপড়টি পূনঃপরীক্ষা করে এটি মানতে নারাজ মধ্যযুগীয় ইসলামী শিল্প ও প্রতœতত্ত্বের এক নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ। তার মতে, ওই কাপড়টিতে কোন আরবী অক্ষরের অস্তিত্ব নেই। টেক্সাসের অস্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিফানি মুলার বলেন, ত্রুটিটি সময় নির্ধারণজনিত ত্রুটি থেকে এমনটি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, প্রাচীন জলদস্যু যুগ শেষ হওয়ার ৫০০ বছর পরও আরবি কুইফিক লেখার প্রচলনই ঘটেনি। তাই, আবিষ্কৃত কাপড়টি যে সময়ের সে সময়ে কুফিক অক্ষরে আল্লাহ লেখার কোন উপায়ই নেই।
এর আগে গবেষকরা বলেছিলেন, কাপড়ের টুকরোটি জলদস্যুদের ব্যবহার করা একটি ব্যান্ড-এর খন্ডাংশ। এর মধ্যে এমব্রোইডারি করে লিখা আছে ‘আল্লাহ’ এবং ‘আলি’ এই দুটি নাম। গবেষকদের দাবি ছিলো, ইসলামে অনুগত বোঝার জন্য এ দুটি নামই যথেষ্ট। তারা এও দাবি করেছিলেন, সপ্তম শতকের কুফিক নামে আরবী কিছু নথিরও সন্ধান পাওয়া গেছে সমাধী ক্ষেত্রগুলোতে।
উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে বস্ত্র প্রতœতত্ত্ব নিয়ে কাজ করা আনিকা লারসন বলেছিলেন, ‘জলদস্যুদের দুটি ভিন্ন সমাধি ক্ষেত্র থেকে পাওয়া কুফিক অক্ষরমালা এটাই জানান দিচ্ছে যে, দস্যুপনার মাঝেই তাদের হৃদয়ে হানা দিয়েছিলো ইসলাম। জলদস্যু যুগ ইসলাম দ্বারা অনুপ্রাণীত হয়েছিলো। তারা বেহেশতের অনন্ত জীবনে থাকার স্বপ্ন দেখতো।’ কিন্তু স্টিফানি মুলারের দবিটি তাদের গবেষণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পর্যায়ক্রমে ওই কাপড়টির আরও উচ্চতর গবেষণা হবে বলে জানা গেছে। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট