অনিবন্ধিত ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রির প্রবণতা বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিবন্ধিত ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রির প্রবণতা বেশি বলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। এজন্য ডিজিডিএ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছে- সারাদেশে একযোগে সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনার মাধ্যমে অনিবন্ধিত ফার্মেসিগুলোর মূল উৎপাটন করার। এমন প্রস্তাব প্রসঙ্গে গত বুধবার বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি সাদেকুর রহমান ডিজিডিএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের কাছে অনুরোধ জানান, অনিবন্ধিত ফার্মেসিগুলোকে যেন সময় দেয়া হয়, যেন তারা নিবন্ধনের আওতায় আসতে পারে। এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী চার মাসের মধ্যে যদি অনিবন্ধিত ফার্মেসিগুলো নিবন্ধিত না হয়, তাহলে সব বন্ধ করে দেয়া হবে। ডিজিডিএ- এর তথ্য মতে- দেশে বর্তমানে নিবন্ধনপ্রাপ্ত ফার্মেসির সংখ্যা এক লাখ ২৩ হাজার ৮৩৬টি এবং নিবন্ধনহীন ফার্মেসীর সংখ্যা ১৯ হাজার ২৫৪ টি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৫৪টি অবৈধ ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান, ১৪টি ফার্মেসির বিরুদ্ধে ড্রাগ কোর্টে মামলা, ৭৪টির বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে, বিগত ১৫দিনে ১৯৩৪টি দোকানে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়, ২০টি দোকান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সহায়তায় বন্ধ করে দেয়া হয়।