ডি ভিলিয়ার্স বাংলাদেশের কাছে ঋণী হয়ে থাকলেন!
স্পোর্টস ডেস্ক : গত বুধবার পার্লে ব্যাট হাতে এমন এক উচ্চতায় এবি ডি ভিলিয়ার্স পৌঁছেছেন যেজন্য প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের কাছেই তার ঋণী হয়ে থাকার কথা! ১০১ বলে ১৫ চার ও ৭ ছক্কায় ১৭৬ রানের রেকর্ডভাঙা ইনিংস। নিজের ক্যারিয়ার সেরা তো বটেই, এই ইনিংসের একেক ধাপে ভেঙেছে দেশ বিদেশের নানা কিংবদন্তির নানা রেকর্ড। সেই তালিকায় শচীন টেন্ডুলকার, শহীদ আফ্রিদি, বীরেন্দর শেবাগরাও পড়ে গেছেন পেছনে!
বোল্যান্ড পার্কে বিধ্বংসী ইনিংসে ডি ভিলিয়ার্স আরো একবার প্রমাণ করেছেন এই যুগের অন্যতম সেরা তিনি। ৬৮ বলে সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনার সামনেও ছিলেন। কিন্তু রুবেল হোসেন তা হতে দেননি। ডি ভিলিয়ার্সের ওপর দাঁড়িয়ে ৩৫৩ রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়াদের জয়টা হয়েছে মহজ। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন ওয়ানডের সিরিজটা হয়ে গেছে স্বাগতিকদের। রেকর্ড বইয়ের পাতায় অনেকভাবেই ওই এক ইনিংসে নাম উঠেছে ডি ভিলিয়ার্সের। ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের চেয়ে তার কাছে হয়তো বড় কিছু নামকে টপকে যাওয়া। ৭০ বলের মধ্যে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড এখন ডি ভিলিয়ার্সের ৬টি। আফ্রিদি ও শেবাগের চারটি করে এমন সেঞ্চুরি আছে। আবার ওটা ছিল ডি ভিলিয়ার্সের ২৫তম সেঞ্চুরি। শচীন টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ারের ৪৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরির ২৪টির স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০ এর বেশি। সেটা ছাড়িয়ে গেছেন ডি ভিলিয়ার্স।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামও পেছনে পড়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭টিসহ এখন ডি ভিলিয়ার্সের ক্যারিয়ারের মোট ওয়ানডে ছক্কার সংখ্যা ২০১। অবসরে চলে যাওয়া ম্যাককালামের রেকর্ডটা ছিল ২০০ ছক্কার। ওই ৬৮ বলের সেঞ্চুরিটা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসের অষ্টম দ্রুততম। আর বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এই আটের শীর্ষ ৬ দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিকই একজন। ডি ভিলিয়ার্স!- পরিবর্তন