মুসলমানদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে বলেই যুক্তরাষ্ট্রের এতো ক্ষোভ
এম এ আহাদ শাহীন : ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিদ্বেষী বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, মুসলিম দেশগুলোকে দুর্বল ও খ–বিখ- করা এবং এ অঞ্চলের ভৌগোলিক সীমানায় পরিবর্তন আনার জন্য ইসরাইল ও মার্কিন কর্মকর্তারা যে ষড়যন্ত্র এঁটেছিলেন তা ব্যর্থ হয়েছে। আইআরজিসি’র বিবৃতিতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিকে আরো জোরদার করার বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। পার্সটুডে
ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নসহ ইরানের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, এ ক্ষেত্রে আইআরজিসি’র ভূমিকা শত্রুদের সব হিসেবে নিকেশ পাল্টে দিয়েছে এবং তারা এখন ইরানের শক্তিকে বিবেচনায় আনতে বাধ্য হচ্ছে। ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তির অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে আইআরজিসি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রমাণ করেছে, যেকোনো হুমকি মোকাবেলার ক্ষমতা এই বাহিনীর রয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, আগ্রাসী শক্তিগুলো ভালো করেই জানে কোনো দেশের যদি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা না থাকে কিংবা যদি দুর্বল হয় তাহলে সহজেই তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করা সম্ভব। চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বর্তমানে ইরান প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে শত্রুর হুমকির সম্মুখীন। এ কারণে নিজ প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানো ইরানের এখন প্রধান লক্ষ্য।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সম্প্রতি বুদ্ধিজীবীদের এক সমাবেশে তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অব্যাহত শত্রুতামূলক আচরণের কথা উল্লেখ করে প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে বাড়ানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, শত্রুরা কিছুতেই চায় না ইরান এ অঞ্চলে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক। রাজনৈতিক, সামরিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ইরানের উন্নতিতে শত্রুরা প্রচ- ক্ষুব্ধ, চিন্তিত ও হতাশ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।