ঢাকার রেলওয়ে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
রিকু আমির : ঢাকার রেলওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পেতে যাচ্ছে। এটা হলে এই হাসপাতালের সেবার মান ও সেবার পরিধি বাড়বে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল নতুন করে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। সব সরকারি হাসপাতালের মতো সবাইকে সেবা দেওয়া ছিল উদ্দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল, ঢাকা’র নাম পরিবর্তন করে ‘রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা’ নামকরণ করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি।
এ হাসপাতালের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে এই কমিটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চারজন এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের তিনজন ছিলেন। সম্প্রতি একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে এ হাসপাতাল নিয়ে।
এতে উপস্থিত একজন ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালটির অবকাঠামোগত কিছু উন্নয়ন ঘটানো হবে, এটি পরিচালনা করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
একটি প্রশ্নে তিনি বলেন, জায়গার মালিক রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ই থাকবে। তবে উভয় মন্ত্রণালয়ের (রেল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) সম্মতি থাকলে জায়গা ৯৯ বছরের জন্য ইজারাও নিতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা আছে বলে ওই ব্যক্তির ভাষ্য।
সূত্রটি বলছে- রেলওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আসলেও এর নাম পরিবর্তন করা হবে না, রেল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বাস্থ্যগত স্বার্থে এখানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিচালনাধীন একটি প্রশাসনিক কর্নার থাকবে।
কমিটির আরেকজন সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে শুক্রবার সকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, যে বড় হাসপাতাল এটা, সে অনুযায়ী কাজে আনতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ। এটা তাদের দোষ না। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় জ্ঞানের ঘাটতি থেকেই এটা হয়েছে। সরকারের ইচ্ছা- হাসপাতালটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও নির্দেশনা আছে- এই হাসপাতালটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর। সে অনুযায়ী-ই সবকিছু করা হয়েছে এবং আরও করা হবে।